দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুদ্ধে জড়াতে চান বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে, সরকার সেই ফাঁদে পা দেবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধী দলের একটা ভাষা আছে। এটা বিরোধী দলের কমন ভাষা—সরকারে যারা থাকে, তারা নতজানু থাকে। কীভাবে নতজানু, এটা একটু ফখরুল সাহেব ব্যাখ্যা করে বলুক। ফখরুল সাহেব যুদ্ধে জড়াতে চান। আমরা সে ফাঁদে পড়ব কেন?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেন্টমার্টিনে যে গুলিটা আসছে, এটা মিয়ানমার সরকারের নয়। এটা আরাকানের যে রেবেলরা আছে তাদের। সেখানে যে জাহাজের কথা বলা হচ্ছে, সেটা তারা সরিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আছি। ২৫ আগস্ট যখন রোহিঙ্গারা স্রোতের মতো আসছিল, তখনও তারা কখনও কখনও আকাশসীমা অতিক্রম করেছিল। তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনে। আমি এক মাস কক্সবাজারে ছিলাম। তখন প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি বাহিনীর প্রধানকে ফোন করে বলতেন, কোনো অবস্থাতেই আমরা যেন যুদ্ধে লিপ্ত না হই।’
যে কোনো সমস্যা আলাপ-আলাচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করব। আলোচনা করে সমাধান করব। আমরা যুদ্ধে জড়াব না। এটা আমাদের দেশের জনগণের চাওয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারে আছি। আমাদের দায়িত্ব আছে, কর্তব্য আছে। সার্বভৌমত্ব চলে গেলে আমাদেরই ব্যথা লাগবে বেশি। কারণ, এ জাতির মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে, মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপ্রস্তুতি, স্বাধিকার লড়াইয়ের সঙ্গে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মির্জা ফখরুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ফখরুল সাহেব কী করেছেন, জানি না। কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, সেটাও জানি না। এসব কথা বলে লাভ নেই। সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হলে, আলাপ-আলোচনার সীমা যদি কেউ পেরিয়ে যায়, সত্যিই যদি তারা আক্রমণে আসে, আমরা কি বসে থাকব? আমরা বসে বসে আঙুল চুষব? আমাদেরও পাল্টা আক্রমণ করতে হবে। আমরা তো এখনও আক্রমণ দেখিনি।‘
তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অনেক সমস্যা আছে। আমরা সীমান্তে আছি, গুলি এসে লাগতেই পারে। গুলির আওয়াজ হতে পারে। এটা সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন নয়। এটা ওদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। সেখান থেকেই হচ্ছে। সেটার জন্য আমরা কেন মিয়ানমার সরকারকে দায়ী করব। আমরা যতদিন সম্ভব, শেষ পর্যন্ত আলাপ- আলোচনার দরজা খোলা রাখব।