দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। পাকিস্তানি রুল, তারপরে এরশাদের রুল সবকিছুকে ছাড়িয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দুঃশাসনে বাংলাদেশকে পরিপূর্ণভাবে ব্যর্থ করে ফেলেছে। রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক ফোরামের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ‘নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক সরকার ও বর্তমান পেক্ষাপট’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশটাকে কিভাবে কোন জায়গা নিয়ে গেছে সরকার। আমাদের কথা বলতে ভয় হয়, সাংবাদিকদের লিখতেও ভয় হয়। একটি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে এই সরকার। দেশে এই অবস্থা তৈরি হবে এটা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। আমরা যখন ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছি স্বপ্ন দেখেছি সুখী সমৃদ্ধ একটি স্বপ্নের দেশ তৈরি হবে। আজকে সেই বাংলাদেশ, আমরা কষ্ট পাচ্ছি। আমরা তো এমন দেশ দেখতে চাইনি। সত্যিকার অর্থে ১৯৭১ সালে যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম সেই বাংলাদেশ আমরা ফিরে পেতে চাই।
ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমভাবে বাংলাদেশ স্বাধীনের পরে এখানে গণতন্ত্র চর্চা সেভাবে হয়নি। যারা স্বাধীনতার পরে ক্ষমতায় ছিলেন তারাই প্রথমে এখানে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া এটা সেদিন আওয়ামী লীগে ধ্বংস করেছিল। বিআরটি এখন গলার কাটা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্লজ্জ’ এ কথা বলার পূর্বে তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গত দশ বছর যাবত মানুষকে অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে ফেলেছে।
এক এগারো সরকারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ”মাইনাস টু ফর্মুলা”‘ গণতন্ত্রকে দূরে রাখো। সেই একই সূত্র থেকে, একই চক্রান্ত থেকে পরবর্তীকালে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছে আওয়ামী লীগ। ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যেদিন বাতিল করা হলো সেদিন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ চিরস্থায়ীভাবে অস্থিতিশীলতা এবং অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করল।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গ টেন তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে এসেছিল আওয়ামী লীগ। এই দাবি নিয়ে ১৭৩ দিন তারা হরতাল পালন করেছিল। এই দাবিকে এস্টাবিলিস্ট করার জন্য। তাদের যুক্তি ছিল দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না।
বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান মোঃ শাহরিয়ার আলম জর্জ এ-র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন আহমেদ অসীম প্রমুখ বক্তব্য দেন।