1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
‘অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে’ - DeshBideshNews
November 28, 2024, 3:34 am
 

‘অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে’

  • Update Time : Sunday, October 30, 2022
  • 71 Time View
‘অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে’

দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : স্ট্রোক রোধে মোবাইল ফোন কম ব্যবহারের উপর জোর দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মোবাইল ফোন কম ব্যবহার করতে হবে। অধিক সময় মোবাইল ফোন নিয়ে বসে থাকলে স্ট্রেস বেড়ে গিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে । তাই আমরা ওষুধের পিছনে বেশী অর্থ ব্যয় না করতে হয় সেদিকে সচেতন হতে হবে। ববার বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকে ‘বিশ্ব স্ট্রোক দিবস’ উপলক্ষ্যে নিউরোসার্জারি বিভাগের এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও নিউরোমেডিসিন ও নিউরো সার্জারি বিভাগ পৃথক দুটি গণসচেতনামূলক শোভাযাত্রা বের করে।

অনুষ্ঠানে ডা. মো . শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, দ্রুত সময়ে স্ট্রোকের রোগীদের হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হলে অনেক মৃত্যু ঠেকানোর পাশাপাশি বিকালঙ্গ রোধ করা যাবে। স্ট্রোকের রোগের চিকিৎসা করার চেয়ে স্ট্রোক প্রতিরোধ করা জরুরি। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। খাবারে লবণ না খাওয়া, ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করা, নিয়মিত শরীর চর্চা করা, স্ট্রেস না নেয়া, ধুমপান না করার উপর জোর দিতে হবে।

সেমিনারে বলা হয়, বিশ্ব ব্যাপী মানুষের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ স্ট্রোক। বিশ্বের মৃত্যুর প্রতি ৪ জনের ১ জনের স্ট্রোকে মৃত্যু হয়। বিশ্বে প্রতি মিনিটে ১০ জন স্ট্রোকের কারণে মৃত্যু হয়। বিশ্বের ১০০ জন স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীর ৪৮ জনেরই উচ্চ রক্তচাপ ভুগেন। বিশ্বে প্রতি হাজারে ৮ থেকে ১০ জন মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে প্রতি লাখে ২ থেকে ১৩ জন শিশু স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিস্কে স্ট্রোকের অর্ধেক হয় রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে, বাকি অর্ধেক হয় মস্তিস্কের রক্ত নালি ছিড়ে রক্তক্ষরণের মাধ্যমে স্ট্রোক হয়। বছরে ১০ থেকে ২৫ ভাগ শিশু স্ট্রোকে মারা যায়। ২৫ ভাগ শিশু বারবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। স্ট্রোকে আক্রান্ত ৬৬ ভাগ শিশুদের হাত পায়ের দুর্বলতা, খিঁচুনী দেখা দিতে পারে। স্ট্রোকে আক্রান্ত শিশুদের শারিরিক ও মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে স্ট্রোক রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। স্ট্রোকের চিকিৎসার জন্য দ্রুত সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। এই সময়ের মধ্যে জরুরি চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হলে রোগীর মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব কমানো সম্ভব। স্ট্রোক রোগীদের বিশেষ করে মাথায় রক্তক্ষরণ হলে জরুরি অপারেশন প্রয়োজন হয়। ইসকেমিক স্ট্রোক (রক্তবাহিকা নালিকা বন্ধ) হলে জরুরি অপারেশন করলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব।
সেমিনারে বলা হয়, স্ট্রোক প্রতিরোধে ৭টি পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাবারে তেল ও লবণের ব্যবহার কমানো, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকা, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও স্ট্রেস কমাতে নামাজ, উপাসনা বা মেডিটেশন করা।

সেমিনারে নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হারাধন দেবনাথ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কে এম তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামসুল আলম ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. রকিবুল ইসলাম পৃথক চারটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউর নিউরো সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আখলাক হোসেন খান।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ