মো রতন মিয়া, মালদ্বীপ প্রতিনিধি : আগের যে কোন দিনের তুলনায় মালদ্বীপের বর্তমান অবস্থা খুবই ভয়াবহ। নিঃসন্দেহে বলা যায় কারণ কখন যে কিভাবে পুলিশ এসে হানা দেয় তার ঠিক ঠিকানা নেই। বিশেষ করে যারা দোকানে, সুপার শপএ, ক্যাফে, হোটেল রেস্টুরেন্টে, অথবা সবজি মার্কেটে কাজ করেন এবং বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করেন তারা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছেন। এখন সবার মনে প্রশ্ন উঠতে পারে যাদেরকে ধরতেছে তারা তো সবাই অবৈধ না, এটা আপনাদের ভুল ধারনা।
যাদের ওয়ার্ক পারমিট কার্ড আছে তাদেরকেও ধরতেছে এবং যাদের কার্ড নেই তাদেরকেও ধরতেছে তাহলে আপনার ৩০/৩৫/৪০ হাজার মালদ্বীপের রুপিয়া দিয়ে এজেন্সির মাধ্যমে কোটা(ভিসা) কিনে অবৈধ থেকে বৈধ হলেন পারমিট কার্ডও পেলেন এখন পুলিশ আবার আপনাকে ধরবে তাহলে লাভটা হলো কি। মালদ্বীপ সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী এক মালিকের লোক এই মালিকের কাজ ছাড়া অন্য কোন জায়গায় কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু মালদ্বীপের বর্তমান চিত্র ভিন্ন ৮০% লোকই বাহিরের কাজ করতেছেন অনেক আগে থেকে।
কিন্তু এই একটি বিষয়ে আলাপ আলোচনা করে সমঝোতায় আসা সম্ভব হতে পারতো, কিন্তু সবাই নিরব কে শুনে কার কথা কে বলবে কার কথা। মাননীয় বাংলাদেশ হাই কমিশনারও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না এই ব্যাপারে।
আমরা সবাই মালদ্বীপ প্রবাসী মাননীয় বাংলাদেশ হাই কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতেছি এই ব্যাপারে অতি শীগ্রই মালদ্বীপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে আলাপ আলোচনা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। মালদ্বীপ সরকারের কাছে অভিযোগ তুলে ধরুন এবং বলুন আমাদের লোক তো সবাই বৈধ আছে এবং অনেকেই বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়াধীন আছেন আপনারা শুধু বাহিরে কাজ করার অনুমতি দিন এবং আপনাদের এই নতুন আইনটি বাতিল করুন। ইনশাআল্লাহ সবাই একসাথে বসলে এর একটা সমাধান হবে। এই বিষয়টি যদি সমাধান না করেন তাহলে ৩০/৩৫/৪০ হাজার মালদ্বীপিয়ান রুপিয়া দিয়ে কোটা (ভিসা) কিনে ভিসা ঠিক করে লাভটা কি হবে বলুন।
যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন তা না হলে আগামীতে মালদ্বীপ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর দিন অপেক্ষা করতেছে।