মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পুর্বমূহুর্তে সদ্য প্রয়াত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকল অতিথিরা রানির জন্য খোলা শোক বইয়ে স্বাক্ষর ও টেবিলের পাশে সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করে বিশ্বের দীর্ঘদিন যাবত শাসন করা সবার প্রিয় রানিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
যথারীতি ১.০০ ঘটিকার সময় ব্রিটেন ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের সাথে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের জাতীয় পতাকাকে বার্মিংহাম ক্রীড়া পরিষদের সদস্য ও আগত অতিথিবৃন্দ সবাই সম্মিলিতভাবে পঞ্চম ক্রীড়া মেলার ব্যানারের সামনে পতাকার একদিক উঁচু করে তুলে ধরেন এবং জাতীয় সংগীত শেষে সবাই একসাথে আকাশের দিকে একঝাঁক বেলুন ছেড়ে মেলার উদ্বোধন ঘোষনা করেন।
ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে ক্রীড়াপ্রেমিক মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্রীড়া মেলায় অংশ গ্রহন করেন। নানা পেশা ও বয়সের পুরুষ নারী ছেলে মেয়ে শিশুরা মেলায় অংশগ্রহন করেন। রকমারি মুখরোচক খাবারের স্টল ও দোকান ছাড়াও বাচ্চা ছেলে মেয়েদের জন্য ছিল বাউন্সি ক্যাসলসহ নানা আর্কষনীয় খেলাধূলার আয়োজন। বড়দের জন্য ছিল কাবাডি হাঁড়ি ভাঙ্গা, মেয়েদের জন্য ছিল লুডু খেলা, গোল্লাছুট কানামাছিসহ বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী অনেক খেলা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মেলায় অথিতিদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আগত অথিতিরা নানা খাবার ও খেলাধূলার পাশাপাশি স্থানীয় ও বাংলাদেশ থেকে আসা সংগীত শিল্পীর মনমুগ্ধকর গান আর দেশ থেকে আসা কৌতুক শিল্পীদের মনমাতানো কৌতুকে অত্যন্ত আনন্দঘন সময় অতিবাহিত করেন।
ক্রীড়া মেলার বড় ও বাচ্চাদের সকল ইভেন্টে প্রচুর খেলোয়াড়রা অংশ গ্রহন করেন। প্রতি দেশি ইভেন্ট ছিল অত্যন্ত আনন্দদায়ক সবার স্মৃতির পাতায় ভেসে এসেছিল অতীতের শৈশব আর কৌশরের হারানো স্মৃতি। দিন শেষে সব ইভেন্টের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে আগামী বছর আবার স্মলহীত পার্কে দেখা হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ক্রীড়া আয়োজনের সমাপ্ত ঘোষনা করেন আয়োজকেরা।