দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : একেবারে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করে এবার হোম অফিস এস্যাইলাম আবেদনকারিদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউনে নামার ঘোষনা দিয়েছে ব্রিটেনের হোম অফিস। গত বৃহস্পতিবার হোম অফিসের নতুন ঘোষনায় বলা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে যারা ব্রিটেনে এসে এস্যাইলেম আবেদন করেছে তাদের যদি প্রফার এভিডেন্স না থাকে, তাদের জীবন যে হুমকির সম্মুখী, তাদের যদি ডকুমেন্টসনে যদি প্রমান না হয় তাহলে তাকে ফিরত পাঠানোর ব্যাপারে হোম অফিস ক্রেকডাউন শুরু করেছে।
হোম অফিস বলছে, বাংলাদেশের সাথে তাদর এ নতুন এক ধরনের চুক্তির কথা। তারা আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের সাথে তাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ভালো সম্পর্ক সাংস্কৃতিক থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক সু-সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশের সাথে। সেই বংলাদেশ থেকে যারা ব্রিটেনে এসে এস্যাইলেম আবেদন করছেন তাদেরকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে তারা একটি ঐক্য মতে পৌছেছে । এটা মূলত হোম অফিসের নতুন ঘোষনায় বলা হয়েছে। এ্যবিডেন্স টেন্ডারের খবরে বলা হয়েছে, হোম অফিস একটি ডাটা প্রকাশ করেছে যেখানে লিখেছে গত বছর আফগানিস্তান থেকে সর্বচ্চ ছয় হাজার দুইশত সত্তর জন লোক ব্রিটেনে এসে অস্যাইলেম আবেদন করেছে। তার পরেই ভারত পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের নাম রয়েছে। প্রায় সাত হাজার চারশত বাংলাদেশ থেকে এসে এস্যাইলেম আবেদন করেছেন বলে উল্লেখ করছে সেই রিপোর্টে ।
বিপুল সংখ্যক স্টুেডেন্টও ব্রিটেনে এসে এস্যাইলেম আবেদন করেছেন বলে সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু মাত্র রুয়ান্ডা প্লানের কথা নয় , যারা রুয়ান্ডা প্লানের আন্ডারে যারা ব্রিটেনে অবৈধভাবে এসেছেন তাদেরকে যে রিমোভ করার পরিকল্পনা করার কথা বলা হয়েছিলো সেটার পাশাপাশি একেবারে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করে কিন্তু এ ক্র্যাকডাউনের ঘোষনা দিয়েছে ব্রিটেনের হোম অফিস। আগামী বেশ কিছুদিন এই ক্র্যাকডাউন অব্যাহত থাকবে বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বাসা- বাড়ির যেসব এড্রেস গুলো কর্তৃপক্ষের হাতে রয়েছে। এস্যাইলেম আবেদনকারিদের সেইসব এড্রেসে গিয়ে হানা দেওয়া হবে।
যাদের এস্যাইলেম ব্যার্থ হয়েছে ব্রিটেনে থাকার কোনো রাইট নেই, তাদরকে রিমুভালের কথা আগেই বলা হয়েছে দেশ ছাড়ার জন্য এবং তাদের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে বাংলাদেশে যাওয়া যাদের জন্য নিরাপদ তাদেরকেই ধরে ধরে বাংলাদেশে পেরত পাঠানোর কথাই কিন্তু এই রিপোর্টে বলা হয়েছে ।
বাংলাদেশের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আগেই একটা চু্ক্তি হয়েছিলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তভুক্ত দেশ গুলোতে যারা এস্যাইলেম আবেদন করেছেন অথবা থাকার পরিকল্পনা করছেন এস্যাইলেম নিয়ে তাদের পেইস গুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায় বংলাদেশ তাদের জন্য বিপজ্জনক নয় তাহলে তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার সহায়তা করবে। এখানে আগেই একটি চুক্তি ছিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়ার পরে সেই চুক্তিটি আবার নতুন করে করা হয়েছে ইউকের সাথে। মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যতগুলো ব্যাবসায়িক চুক্তি বা অভিবাসন সক্রান্ত যে চুক্তিগুলো ছিলো সেগুলো আবার নতুন করে ইউকের সাথে করা হচ্ছে ইউকে সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যো ।
ব্রিটেনে চলতি বছর নির্বাচনের বছর। কন্জামিনেশন পার্টি ইমেগ্রেশন বিরোধী একটি সরকার এবং তারা যেহেতু নির্বাচনে বেশ খারাপ অবস্থানে রয়েছে সেখান থেকে ঘুরে দাড়ানোর জন্য উপায় হচ্ছে ইমিগ্রেশনকে নিয়ন্ত্রন করা। আর সেই নিয়ন্ত্রনের জন্যই সরকার এখন মরন কামড়দিয়ে নেমেছে । সুতরাং বাংলাদেশী যারা এস্যইলেম আবেদন করেছেন তারা তাদের আইনজীবির সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তীতে কি করনীয় সেই ব্যাপারে পরামর্শ নেয়া খুব জরুরি।