বরগুনা প্রতিনিধি : ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে হাদিসুরের লাশ বরগুনার বেতাগী উপজেলার কদমতলা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় ইমামতি করেন বেতাগী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা জিয়াউল হক।
এ সময় বরগুনা ১ আসনের সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন, পৌর মেয়র এ বি এম গোলাম কবির, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ানসহ নানা শ্রেণি পেশা ও বয়সের মানুষ হাদিসুরের লাশ দেখতে আসেন।
গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে হাদিসুরের লাশ বেতাগীতে তাঁর নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। এর আগে দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে তুর্কি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হাদিসুরের লাশ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা লাশ গ্রহণ করেন। বেলা দুইটার দিকে তাঁর লাশ নিয়ে বরগুনার পথে রওনা হন স্বজনেরা। এদিকে হাদিসুরের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে পৌঁছানোর পরে মা বাবা, ভাই-বোন ও স্বজনদের আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
গতকাল দুপুর থেকেই হাদিসুরকে শেষবারের মতো দেখতে তাঁর বাড়িতে স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের ভিড় বাড়তে থাকে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাঁর বাড়িতে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান-হাদিসুরের এই মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁদের।
উল্লেখ্য, ২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে এ হামলা হয়। এতে হাদিসুর নিহত হন।