দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : খনিটি বৈধভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছিল বলে২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে বড় আশা ভারতীয়দেরও
নিজেদের মাটিতে বরাবরই বাংলাদেশ শক্ত প্রতিপক্ষ। ফরম্যাট যদি হয় ওয়ানডে তাহলে তো কথাই নেই। শেষ কয়েক বছরে দেশের মাটিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের সূচক উর্ধ্বমুখী। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে বেশ কয়েকবারই বড় দলগুলোকে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর জয়ের যে গাড়ি চলা শুরু হয়েছে তা এখনও ছুটছে। এ সময়ে ১৩ সিরিজের ১২টিই জিতেছে বাংলাদেশ। কেবল হেরেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, সেটাও ২০১৬ সালে। ৩৮ ওয়ানডের ৩০টি জিতেছে, হেরেছে কেবল ৮টি। ২০২৩ সালে দশ দল নিয়ে ভারত আয়োজন করবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সাম্প্রতিক ফল অনুসারে প্রায় একই ধরণের কন্ডিশনে ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন, ভারতের স্পিন অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর।
এর আগে ভারতের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিকও জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সেমিফাইনালে না ওঠা হতাশাজনক হবে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে সুন্দর বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, বাংলাদেশ কিন্তু নিজেদের মাটিতে উচুঁ মানের দল। রেকর্ড এই কথাই বলছে যে, তারা সম্প্রতি কেবল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি সিরিজ হেরেছে। বাকি সবগুলোতে তাদের জয়। নিজেদের মাঠে তারা বেশ সফল। এখানে আসার আগে আমরা জানতাম আমরা কোন পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি। নিশ্চিতভাবেই উপমহাদেশে বাংলাদেশ বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ। তারা এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করেছে এবং ধারাবাহিকভাবে কয়েক বছর ভালো করছে। আমি নিশ্চিত যে বিশ্বকাপে তাদের একটি ভালো টুর্নামেন্টও দেখতে পাবে।’
এর আগে দিনেশ কার্তিক বলেছিলেন, ‘আমি এতটুকু বলতে পারি, যেহেতু এশিয়ার দল হিসেবে এশিয়ার মাঠে বিশ্বকাপ খেলবে, সেই জায়গায় বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলতে না পারা হবে হতাশার। বিশেষ করে, এই ফরম্যাটে তারা সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে খেলছে, আগামী বিশ্বকাপে তাদের খুবই ভালো করার কথা।’
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির তুলনায় বাংলাদেশ এ ফরম্যাটে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। একদিনের খেলা, পূর্ণ সময় উপভোগ করা যায়, সময় পাওয়া যায়। ঘুরে দাঁড়ানো যায়, লড়াই করা যায় বলে এই ফরম্যাটই ক্রিকেটারদের পছন্দের শীর্ষে। অভিজ্ঞা ও তারুণ্যর মিশেলে তাই ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ভালো করা সূবর্ণ সুযোগ। জানা গেছে। তবে খনিজ-সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশজুড়ে খনির দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ। বিশেষ করে লাইসেন্সবিহীন পরিত্যক্ত স্থানে যথাযথ নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার না করেই কাজ করার ফলে এসব দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বোর্নিও দ্বীপে একটি খনিতে ভূমিধসে অন্তত সাতজন মারা গিয়েছিল। এ ছাড়াও এপ্রিলে উত্তর সুমাত্রা প্রদেশে একটি অবৈধ সোনার খনিতে ১২ জন খনি শ্রমিক ভূমিধসে নিহত হয়েছিল।