দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সৌদি আরবের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হারে এবারের বিশ্বকাপের অঘটনের শুরু। আর ক্যামেরুনের কাছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিরে হার দিয়ে শেষ। কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব শেষ হতে হতেই ঘটে গেছে বড় সব অঘটন। একে একে হেরেছে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনের মতো শক্তিগুলো। একেবারে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে এসে হারের স্বাদ পেলো হেক্সা মিশনে থাকা ব্রাজিলও।
‘জি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে শুক্রবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে ক্যামেরুনের কাছে সেলেসাঁওরা হারে ১-০ গোলে। যোগ করা সময়ে ক্যামেরুনের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আবু বাকার। ডানদিক থেকে ক্রস পেয়ে দৌড়ে এসে অসাধারণ হেডে বল জড়িয়ে দেন জালে। আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ব্রাজিল। তবে এ জন্য নিজেদের ঘাড়েই দোষ নিতে হবে ব্রাজিলিয়ানদের। একের পর এক সুযোগ হতাছাড়া করেছেন তারা। দ্বিতীয়ার্ধে পেড্রো-ব্রুনো সহজ সুযোগ মিস করেছেন। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল মেরে দিয়েছেন উপরের দিকে।
দারুণ খেলেছেন মার্টেনেল্লি-অ্যান্টনিওরা। দুই দিকে দুজন তটস্থ রেখেছিলেন ক্যামেরুন ডিফেন্সকে। মার্টেনিল্লি শট নিয়েছিলেন দারুণ কিছু, ক্যামেরুন গোলরক্ষক অসাধারণ দক্ষতায় রুখে দিয়েছেন। জার্সি খুলে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় মাঠ ছাড়তে হয় ক্যামেরুনের ইতিহাস গড়া নায়ক আবু বাকারকে। তিনি আনন্দেচিত্তে মেনে নেন সেটি। গ্রুপপর্বের বাঁধা টপকানোর কিছু ছিল না, ম্যাচটাই যেন ছিল তাদের এই বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচ।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে আফ্রিকার কোনো দেশের কাছে হেরেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এর আগের ৭ ম্যাচের সবগুলোতে ২০ গোল দিয়ে জয় পেয়েছিল। হারের পরও ‘জি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউট পর্বে উঠেছে ব্রাজিল। অন্য দল সুইজারল্যান্ড সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হলেও গোল ব্যবধানে তারা পিছিয়ে ছিল। শেষ ষোলোতে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে দুই দল নামবে শেষ আটের লড়াইয়ে। আর সুইসরা খেলবে পর্তুগালের বিপক্ষে। অন্যদিকে ক্যামেরুন ইতিহাস গড়েও পরের পর্বে যেতে পারলো না আগের ম্যাচগুলোর ব্যর্থতার কারণে।
২৮টি শট নেওয়া ব্রাজিল ভুগেছে ফিফিনিশারের অভাবে। জেসুস-ব্রুনোরা বেঞ্চের পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। আগের ম্যাচের শুরুর একাদশ থেকে মাত্র ১ জন নিয়ে আজ নেমেছিল ব্রাজিল। খেলেননি ক্যাসিমিরো-ভিনিসিেউসরা। শেষ দিকে নেমেছিলেন মার্কুইনস-রাফিনহারান। ততক্ষণে আর কিছু করার ছিল না। ব্রাজিলিয়াদের জন্য স্বস্তির বিষয় দলের সুপারস্টার নেইমার জুনিয়রকে মাঠে প্রাণবন্ত দেখা। না তিনি খেলতে আসেননি, সতীর্থদের সঙ্গ দিতে এসেছিলেন, তখনি মাঠে নেমে ছিলেন খোশ মেজাজে।
গ্রুপপর্বের বাঁধা শেষ, তিতের সামনে আর পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ নেই। এখন প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। হারলেই বাদ। ব্রাজিল কোচ স্পষ্ট বুঝেই গেছেন কাদের খেলাতে হবে! কখন খেলাতে হবে।