দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ব্যাটের নাগালে বল পেলেই শটের ছুট! বল সোজা বাউন্ডারিতে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচে আজম খান যখন ব্যাটিং করছিলেন, এই চিত্রই যেন বারবার দেখা যাচ্ছিল। তার খেলা ৫৮ বলের ১৭টিই যে গেছে বাউন্ডারিতে। তাতে সেঞ্চুরি আঁকা হয়ে যায় তার ব্যাটে। ৯ চার ও ৮ ছক্কায় মাঠ মাতিয়ে খুলনার এ ব্যাটসম্যান পেয়েছেন স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি। ইনিংসের ২০তম ওভারে সেঞ্চুরি পান এ ব্যাটসম্যান। তখন ৯২ রানে ব্যাটিং করছিলেন। দ্বিতীয় বলে ১ ও চতুর্থ বলে চার মেরে ৯৭ রানে পৌঁছান। পঞ্চম বল ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির উদযাপনও ছিল খানিকটা বেশি। হেলমেট খুলে ব্যাট হাতে নিয়ে ২২ গজে হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন। এরপর ব্যাট-হেলমেট ছুঁড়ে ফেলেন উইকেটের উপরেই।
ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার মঈন খানের ছেলে। বাবার মতোই ছুটেছে তার ব্যাটিং। মঈন খেলোয়াড়ি জীবনে পেসারদের সুইপ করে ছক্কা উড়িয়েছেন বহুবার। দ্রুততম পেসার ডোনাল্ড, ম্যাকগ্রাকে সুইপ করতেও পিছু পা হননি। আজ আজম ঠিক একই শটে প্রথমে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও পরে মেহেদী হাসান রানাকে গ্যালারির কাছে আঁছড়ে ফেলেছেন।
প্রথমবার বিপিএল খেলতে এসেই নিজের জাত চেনালেন এ পাকিস্তানি ক্রিকেটার। সরাসরি চুক্তিতে তাকে দলভুক্ত করেছিল খুলনা। প্রথম ম্যাচে ১৮ রানে থেমেছিলেন। আজ সুযোগ পেয়েই খেললেন বড় ইনিংস। বিপিএলে যা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে বিপিএলের প্রথম আসরে আহমেদ শেহজাদ পেয়েছিলেন শতক। আজমের সেঞ্চুরিতে ভর করে খুলনা ৫ উইকেটে ১৭৮ রান করেছে। আজম খান ফিফটি করেছিলেন ৩৩ বলে। তখন হাঁকিয়েছিলেন ৪ চার ও ৩ ছক্কা। ফিফটি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে খেলেন ২৪ বল। তার ইনিংসে ১৮টি ছিল ডট।
ইনিংস মেরামত করতে সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু থিতু হওয়ার পর তাকে আর থামানো যায়নি। ক্যারিয়ার সেরা ১০৯ রানে ফিরেছেন ড্রেসিংরুমে। আজমের সেঞ্চুরির দিনে তামিম ৩৭ বলে খেলেছেন ৪০ রানের ইনিংস। সেখানে প্রথম রান পেতে তাকে খেলতে হয়েছিল ১০ বল। এছাড়া সাব্বির রহমান ১০ রান করেন। বাকিরা নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছেন।