দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সব সংশয়, উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ দূর করে কিংসটাউনে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে হারালো নেদারল্যান্ডসকে। ২৫ রানের জয়ে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইটে যাওয়ার লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে নেপালের সাথে জিতলে বাংলাদেশ চলে যাবে সুপার এইটে।
আজ কিংসটনে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ রান করেন সাকিব। তাছাড়া ৩৫ রান এসেছে তানজিদ তামিমের ব্যাট থেকে। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ যে পুঁজি পেয়েছে সেটা ছিল দলের আসল চাওয়া। বিশ্বকাপ শুরুর আগে শান্ত জানিয়েছিলেন, ১৬০ রানের আশেপাশের স্কোর হলে তারা খুশি হবেন। সাকিবের ফিফটির সুবাদে রান ১৫৯। যদিও এই লড়াকু পুঁজির আভাস শুরু ও মাঝপথে ছিল না। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে রান ৫৪। ইনিংসের অর্ধেকতম ওভারে ৭৬। সেখান থেকে পরের ৫ ওভারে যোগ হয় কেবল ২৯ রান। ১৫ ওভারে ১০৫ থেকে বাংলাদেশ ২০ ওভার শেষ করে ৫৪ রান যোগ করে। যেখানে প্রায় সব রানই এসেছে বাউন্ডারিতে। তাতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
এরপর বোলিংয়ের শুরুতে চমক দেখায় বাংলাদেশ। ২৭ ম্যাচ পর প্রথম ওভার করতে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। তবে এই পেসার উইকেটের দেখা না পেলেও দারুণ বোলিং করেন। যদিও শুরুতে ভয় ধরিয়ে দেন নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা। ৩২ রানে দুই ওপেনার ফিরলেও তৃতীয় উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়েন বিক্রমজিত সিং (২৬) ও সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট। ইনিংসের ১০ ওভারে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো এই জুটি ভাঙেন মাহমুদ উল্লাহ। আবার বড় জুটি ডাচদের। এবার এঙ্গেলব্রেখটের (৩৩) সঙ্গী অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। এরপরই দৃশ্যপটে রিশাদ। জোড়া আঘাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পক্ষে নেন এই লেগি। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। তার সঙ্গে তাল মেলান মুস্তাফিজ ও তাসকিন আহমেদ। এতে শেষ দিকে এসে জয়ের কাজ সহজ হয়ে যায় নাজমুলদের। এই জয়ে সুপার এইটের পথে আরো এগোল বাংলাদেশ।