দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ব্যাটিংয়ে বড় স্কোর গড়তে না পারার পর এই ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের বোলারদের অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হতো। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দারুণ কিছুর আভাস দেন মুস্তাফিজুর রহমান। তুলে নেন রাচিন রবীন্দ্রর উইকেট। কিন্তু ওই পর্যন্তই।
এরপর প্রথমে ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়ামসন পরে উইলিয়ামসন আর ডেরিল মিচেল জুটি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
রাচিনের পর আর মাত্র এক উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জিতেছে ৮ উইকেটে। বিশ্বকাপে এটি তাদের টানা তৃতীয় জয়। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের পর নিউজিল্যান্ডের কাছেও অসহায় আত্মসমর্পন করল বাংলাদেশ। দলীয় ১২ রানে রাচিনের উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপর কনওয়ের সঙ্গে উইলিয়ামসনের জুটি ৭০ রানের। এই জুটিতে দুইজনই বাংলাদেশের বোলারদের সামনে ভালোই সংগ্রাম করেছেন। এই সময় দারুণ আঁটসাঁট লাইন লেংন্থে বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা।
যেটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি তাঁরা। কনওয়েকে এলবিডব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। এ সময় ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। কিন্তু উইলিয়ামসনের সঙ্গে ডেরিল মিচেলের ১০৮ রানের জুটি বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে উইলিয়ামসন মাঠ ছাড়ে যান।
যাওয়ার আগে সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। তাঁর ১০৭ বলের ইনিংসে ৮ চার ও এক ছক্কা। ডেরিল মিচেল অপরাজিত ছিলেন ৮৯ রানে। উইলিয়ামসনের তুলনায় বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন তিনি। ৬৭ বলে চার ছক্কা ও ছয় চারে দারুণ ইনিংসটি খেলেছেন ডেরিল মিচেল।
মিচেলের সঙ্গে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন গ্লেন ফিলিপস। ১১ বলে ১৬ রান করেছেন তিনি। এর আগে আরেকবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বড় স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। তারপরও স্কোরবোর্ডে ২৪৫ উঠেছিল মুশফিকুর রহিম-সাকিব আল হাসান আর মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের তিনটি ইনিংসে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেছেন মুশফিক।
সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ রান। এই দুজনের ৯৬ রানের জুটিতে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু দ্রুতই তাঁদের ফেরার পর আবার বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এখান থেকে শেষ দিকে মাহমুদ উল্লাহর ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস ভদস্থ চেহারা পায়। যদিও সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।