দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : আর দেশের জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে না সার্জিও রামোসকে। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের কথা ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের এই ডিফেন্ডার। দেশের জার্সি গায়ে অবসর নিলেও ক্লাব ফুটবল অবশ্য চালিয়ে যাবেন তিনি। অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণায় সঙ্গে সঙ্গে তার ১৮ বছরের বর্ণময় আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ারের অবসান ঘটল ২০১০ বিশ্বকাপজয়ী স্পেন দলের এই খেলোয়াড়ের।
দীর্ঘদিন জাতীয় দলের রক্ষণ সামলানো এই স্প্যানিশ ফুটবলার দেশের হয়ে শেষ মাঠে নেমেছিলেন ২০২১ সালের মার্চ মাসে। তারপর তাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেন সাবেক কোচ লুই এনরিকে। নতুন কোচ লুই দে লা ফুয়েন্তের পরিকল্পনাতেও ছিলেন না রামোস। গত বছর কাতার বিশ্বকাপেও তিনি দলে সুযোগ পাননি। ২০০৫ সালে স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় সার্জিও রামোসের। দেশের জার্সি গায়ে তিনি ১৮০টি ম্যাচ খেলেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেছেন এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। এক আবেগঘন বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের সবার প্রিয় স্পেনের জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর সময় এসেছে। আজ সকালে আমি স্পেনের বর্তমান কোচের কাছ থেকে ফোন পেয়েছিলাম। তিনি বলেছেন, জাতীয় দলে তিনি আমাকে আর বিবেচনা করছেন না। আমার ওপর আর নির্ভরও করবেন না। আমি যেন নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিই।’
রামোস আরো লিখেছেন, ‘আমি নিজেও মনে করি আমার ফুটবলজীবন শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। কারণ আমার পারফরম্যান্স জাতীয় দলে খেলার মতো আর নেই। এটা শুধু বয়সের কারণে নয়, অন্যান্য কারণও রয়েছে। আর সেই সব কারণের জন্যই আমি অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি। তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার বা তাদের কার্যক্ষমতার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো অপরিহার্য দক্ষতা আমার আর নেই। আমি মডরিচ, মেসি এবং পেপের মতো ফুটবলারদের প্রশংসা করি এবং ঈর্ষাও করি। দুর্ভাগ্যবশত আমার ফুটবলজীবন ওদের মতো বর্ণময় নয়। অবিস্মরণীয় স্মৃতি নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আমি যেভাবে দেশের হয়ে লড়াই করেছি তাতে গর্বিত। যারা আমার পাশে থেকেছেন, আমার ওপর ভরসা রেখেছেন, সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’
১৮ বছরের বর্ণময় ফুটবলজীবনে রামোস ২০১০ সালে স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। এ ছাড়া তিনি ২০০৮ এবং ২০১২ ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন দলেরও সদস্য ছিলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিলেও ক্লাব ফুটবল চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।