দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ইনজুরির কারণে দলের প্রাণভোমরা নেইমারের খেলা অনিশ্চিত। তার সঙ্গে ইনজুরির মিছিলে যোগ দিয়েছেন দানিলো। এবার ক্যামেরুনের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কোভিড আতঙ্কে পড়ছে ব্রাজিল। সেলেসাওদের একাধিক ফুটবলার জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় হোটেলের বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে বুধবার বিকেলে দোহার আর আরবি স্পোর্টস ক্লাবে ব্রাজিলের অনুশীলনে গণমাধ্যমের প্রবেশের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে গোড়ালির চোটে পড়েন নেইমার। এ কারণে খেলতে পারেনি সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ। শুক্রবার রাতে ক্যামেরুনের বিপক্ষে তাকে পাচ্ছেন না ব্রাজিলের কোচ তিতে। ক্রমেই অসুস্থতার তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন আলেক্স সান্দ্রো, অ্যান্টনি, অ্যালিসন বেকার, লুকাস পাকেতা, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রাফিনহাসহ বেশ কয়েকজন ফুটবলার।
কারও হালকা জ্বর এবং গায়ে ব্যথা রয়েছে। আবার কেউ কেউ বমিও করছেন। করোনার সব উপসর্গ থাকায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে ব্রাজিল শিবিরে। কাতারে বিশ্বকাপ চলাকালে করোনার ন্যূনতম বিধিনিষেধ রাখা হয়নি। বাধ্যবাধকতা নেই মাস্ক ব্যবহারে। এমনকি ফুটবলারদের বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষার নিয়মও তুলে নিয়েছে ফিফা।
চিন্তিত ব্রাজিল টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য বলেন, ‘কাতারে কেউ মাস্ক পরছেন না। কোভিড সংক্রমণ বোধ করতে ন্যূনতম ব্যবস্থাও নেই। এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের দাপট অনেকটা কম ঠিকই, আবার যে আবার যে বাড়বে না, তার নিশ্চয়তা কি আছে?’ এ সময় তিনি আরও যোগ করেন, ‘কাতারে দিনের বেলায় প্রচণ্ড গরম। রাতে তাপমাত্রা দ্রুত নেমে যায়। তার উপরে স্টেডিয়াম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ছে।’
অসুস্থতার কথা স্বীকার করেন ব্রাজিলের তরুণ ফুটবলার অ্যান্টনি। তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে অস্বস্তি হতো। একা আমার নয়, দলের অনেকেরই কাশি হয়েছে। স্টেডিয়াম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এই সমস্যা বলে আমার ধারণা।’