দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : আবার চমক আফগানিস্তানের। দিল্লিতে তারা হারিয়ে দিয়েছিল ওয়ানডের বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। এবার আফগানদের শিকার ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। আরেকটি অঘটন ঘটিয়ে চেন্নাইয়ে বাবর আজমের দলকে তারা হারিয়ে দিয়েছে ৮ উইকেটে।
পাকিস্তানের ২৮২ রান রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ ও অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৬ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। ওয়ানডেতে টানা সাত ম্যাচ হেরে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো তারা। শুরুর দুই ম্যাচ জেতার পর টানা তিন ম্যাচ হারল পাকিস্তান। রান তাড়ায় রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে দুর্দান্ত শুরু পায় আফগানিস্তান।
১৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে জয়ের রাস্তা তৈরি করে দেন এ দুজন। ৫৩ বলে ৯টি চার এবং ১ ছক্কায় ৬৫ রানের ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে গুরবাজের আউটে ভাঙে এই জুটি। গুরবাজ ফিরলেও সঙ্গী হিসেবে ইব্রাহিম পাশে পেয়ে যান রহমত শাহকে। দ্বিতীয় উইকেটে রহমতের সঙ্গে ৬০ রান যোগ করে আফগানদের জয়ের সম্ভাবনা আরো বাড়িয়ে দেন ইব্রাহিম।
হাসান আলীর বলে আউট হওয়ার আগে ১১৩ বলে ১০টি চারে ৮৭ রান করেন ইব্রাহিম। হাফসেঞ্চুরি করেছেন রহমত শাহও। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির সঙ্গে হাফসেঞ্চুরির জুটিতে জয়টা আরো নাগালে চলে আসে আফগানিস্তানের। চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের স্পিনবান্ধব উইকেটে চার স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজায় আফগানিস্তান। পেসার ফজলহক ফারুকীকে বসিয়ে রশিদ খান, মুজিব-উর রহমান, মোহাম্মদ নবির সঙ্গে স্পিন আক্রমণে যোগ দেন ১৮ বছরের তরুণ নুর আহমদ।
সুযোগটা দারুণভাবে লুফে নিয়ে ৪৯ রান খরচায় তিন শিকারে দলের সফলতম বোলারও এই লেগস্পিনার। বিশ্বকাপ অভিষেকে শফিককে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলার পর ফিরিয়েছেন এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোরার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজমকেও।
১০.১ ওভারে ৫৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে পাকিস্তানকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন ইমাম-উল হক ও আব্দুল্লাহ শফিক। ১৭ রান করে ইমাম আউট হলেও বাবর ও শফিকের ব্যাটে সচল থাকে রানের চাকা। কিন্তু জোড়া আঘাতে শফিক ও রিজওয়ানকে ফিরিয়ে আফগানদের ম্যাচে ফেরান নুর আহমেদ। ৫৮ রান করে শফিক এলবিডাব্লিউ হওয়ার ১০ রান পর মুজিবের তালুবন্দি হন রিজওয়ান (৮ রান)। আফগান স্পিন চতুষ্টয়কে সাবধানে সামলে সউদ শাকিল ও শাদাব খানকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করতে থাকেন বাবর। তবে হাত খুলে অবশ্য খেলতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়কও।
৯২ বলের ৭৪ রানের ইনিংস খেলে নুর আহমদের তৃতীয় শিকার হয়ে বাবর মাঠ ছাড়ার সময় পাকিস্তানের স্কোর ৪১.৫ ওভারে ২০৬। তবু তাদের রানটা অত দূর গেছে শেষ দিকে শাদাব ও ইফতিখারের ব্যাটের ঝড়ে। একটি করে চার ও ছক্কায় ৩৮ বলে ৪০ রান করেন শাদাব। আর চারটি ছক্কায় ২৭ বলে ৪০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ইফতিখার। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৫ বলে তাঁরা দুজন মিলে যোগ করেন ৭৩ রান। এর মধ্যে শেষ ৫ ওভারে পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ৬১ রান।