দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটিতে আংশিক সামরিক সংহতি ঘোষণা করেছেন। আগে রেকর্ড করা এক টেলিভিশনে আংশিক সামরিক সংহতি ঘোষণা দেয়ার সময় পুতিন অভিযোগ করে বলেন, পশ্চিমারা রাশিয়াকে ধ্বংস করতে চায় এবং এ জন্য ইউক্রেনের জনগণকে তারা কামানের খোসায় পরিণত করার চেষ্টা করছে। মাতৃভূমি রক্ষায় এই সামরিক সংহতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুতিন। এ সময় তিনি রাশিয়ার সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধ শুরু করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি দায় দিয়েছেন।
পুতিন বলেন, ‘যদি আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির সম্মুখীন হয়, রাশিয়া এবং আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য, আমরা আমাদের হাতে থাকা সব উপায় ব্যবহার করব। এটি বিভ্রান্ত করতে নয়। ‘যারা পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে তাদের জানা উচিত যে বিরাজমান বাতাস তাদের দিকে ঘুরতে পারে।’ পুতিন ঘোষণায় জানিয়েছেন, রাশিয়ার অস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তিনি অর্থায়ন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার থেকেই এ সংহতকরণের কার্যক্রম শুরু হবে।
এর মানে হচ্ছে, রুশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় আরও অবদান রাখতে হবে। রিজার্ভ সেনাদের প্রয়োজনে ডাকা হতে পারে। যেহেতু রাশিয়ার নিরাপত্তা হুমকিতে, সে ক্ষেত্রে এ ঘোষণার আলোকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারও করতে পারে রুশ সেনারা। এরই মধ্যে পূর্বে ধারণ করা এক ভিডিওতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানিয়েছেন, ৩ লাখ রিজার্ভে থাকা সেনাকে ডাকা হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণা এমন সময় এলো যখন দনবাস অঞ্চলের রুশ স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ চলতি মাসেই রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে গণভোটের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
এর আগে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থায় যোগদানকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পুতিন বলেছিলেন, দ্রুত যুদ্ধ শেষ করতে চান তিনি।
ক্রেমলিনের দাবি, নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ভূমিকা পালনের ইস্যুতে আলোচনা থেকে বেরিয়ে গেছে কিয়েভই।