দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সুদানের চিকিৎসক সংগঠন বলছে, সুদান সংঘর্ষে ১০০ জন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১ হাজার ১০০ জন। আজ সকালে আরো সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির রাজধানী খার্তুমে অবিচ্ছিন্ন বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে বাসিন্দারা।
সুদানে তৃতীয় দিনের মতো সংঘর্ষ চলছে। জাতিসংঘের প্রস্তাবে ‘জরুরি মানবিক যুদ্ধবিরতিতে’ একমত হওয়ার পরও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ও দেশটির সেনাবাহিনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। উভয় পক্ষই রাজধানী খার্তুমের মূল সাইটগুলো নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে। আরএসএফ রাজধানী খার্তুমের সাইটগুলো দখল করার দাবি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং পার্শ্ববর্তী ওমদুরমান শহর। এ ছাড়া দেশটির উত্তরে দারফুর ও মেরোওয়ে বিমানবন্দরের পশ্চিমাঞ্চল।
লড়াই শুরু হয়েছিল শনিবার। মাঝখানে তিনঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ছিল। এই সময়ের মধ্যে বেসামরিক মানুষকে নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে হবে। মিশর ও সাউথ সুদান এই বিরোধ মেটাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। মিশর ও সাউথ সুদানের প্রেসিডেন্ট নিজেদের মধ্যে ফোনে কথা বলেছেন। তাদের মতে, সুদানে উত্তেজনা কমানো জরুরি। না হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। সেজন্যই তারা মধ্যস্থতা করতে চান। সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মানুষ যেন রাস্তায় না বের হন। স্কুল, ব্যাংক, সরকারি অফিস সব বন্ধ। দুই পক্ষই দাবি করেছে, তারা বিমানবন্দর-সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি দখল করে নিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস সামরিক নেতা আব্দেল-ফতেহ বুরহান এবং আধাসামরিক বাহিনীর নেতা হামদান ডাগালোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তাদের অবিলম্বে আলোচনায় বসার অনুরোধ করেছেন।
বুরহান দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যূত করেন। এখন সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। ফলে কারা সুদানের দখল নেবে তা নিয়ে লড়াই চলছে। সেনার তরফ থেকে ফেসবুকে বলা হয়েছে, হামদান একজন অপরাধী। তিনিই যুদ্ধ শুরু করেছেন। এই সংঘর্ষের জেরে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম সাময়িকভাবে তাদের কাজকর্ম স্থগিত রেখেছে। কারণ, তাদের তিনজন কর্মী মারা গেছেন এবং দুইজন আহত হয়েছেন। সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জানিয়েছেন, কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত না হলে তারা কাজ শুরু করবেন না।