দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সোমালিয়াজুড়ে সংঘাতে কমপক্ষে ৩৬ জন মারা গেছে। দেশটির আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ পান্টল্যান্ডে ভয়াবহ সংঘাত ও লোয়ার শাবেল অঞ্চলে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। দেশটির প্রাদেশিক রাজধানী পান্টল্যান্ডের ‘গারওয়ে’-তে স্থানীয় সংসদে ভোটিং পদ্ধতির পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক হয় এবং এ নিয়ে পরে শুরু হয় সংঘর্ষ। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। লড়াইয়ে অন্তত ২৬ জন মারা গেছে এবং এদের মধ্যে ১৬ জন সৈনিক ছিল। এ ছাড়া ৩০ জন আহত হয়েছে। গারওয়ের পাবলিক হাসপাতালে কর্মরত আবদিরসাক আহমেদ রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
অন্য তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিরোধী দলগুলো পান্টল্যান্ডের নেতা সাইদ আবদুল্লাহি ডেনিকে সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য অভিযুক্ত করার পর ব্যাপক সংঘাতের সূচনা হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, সাংবিধানিক পরিবর্তন কার্যকর হলে তা আগামী বছরের জানুয়ারির পরেও সাইদ আবদুল্লাহির ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করবে বা তার পক্ষে ব্যালট কারচুপি করতে সহায়তা করবে।
স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি ফারাহ ওসমান বলেছেন, “পান্টল্যান্ড পার্লামেন্টে একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ‘এক মানুষ-এক ভোট’ নির্বাচনের জন্য ভোট দেওয়ার পরপরই শুরু হয় লড়াই। আইন প্রণেতারা এখনো নিজ নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন এবং পুরো শহর ব্যাপক গোলাগুলিতে কেঁপে উঠছে। এটা খুবই ভয়ংকর যুদ্ধ। অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী তিন সন্তানের জননী সিনাব ওমর বলেছেন, তিনি অন্তত দুইজন বেসামরিক নাগরিকের মৃতদেহ এবং আরো সাতজনকে আহত অবস্থায় দেখেছেন।
অন্যদিকে সোমালিয়ার লোয়ার শাবেল অঞ্চলে পৃথক সহিংসতায় কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও একজন সৈন্য জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত বারিরে গ্রামে দূর-নিয়ন্ত্রিত একাধিক বোমা বিস্ফোরণে প্রাণহানির ওই ঘটনা ঘটে। নুর দিরিয়ে নামের ওই সৈনিক জানান, প্রথমে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটলে বেশ কয়েকজন বেসামরিক লোক নিহত হয়। তাদের উদ্ধার করতে অনেক বেসামরিক ব্যক্তি এবং সৈন্যরা সেখানে একত্রিত হলে দ্বিতীয় বোমাটি বিস্ফোরিত হয়েছিল।