দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সাত বছরের বৈরিতার পর সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছে ইরান ও সৌদি আরব। দুই দেশই পুনরায় দূতাবাস চালু করার কথা শুক্রবার জানিয়েছে। সাত বছর আগে শুরু হওয়া দুই দেশের বৈরী সম্পর্ক উপসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছিল। তাদের এই সম্পর্ক ইয়েমেন থেকে সিরিয়া পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতে ইন্ধন জুগিয়েছিল।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে বেইজিংয়ে গোপন বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকের চার দিন পর দূতাবাস খোলার ঘোষণা দেওয়া হলো। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলী শামখানি এবং সৌদি আরবের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুসায়েদ বিন মোহাম্মদ আল-আইবান।
ইরান, সৌদি আরব ও চীনের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তেহরান ও রিয়াদ ‘তাদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালু করতে এবং দুই মাসের বেশি সময়ের মধ্যে তাদের দূতাবাস ও মিশন পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে। চুক্তিতে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার স্বীকৃতি রয়েছে।’
দুই দেশের কর্মকর্তারা ২০০১ সালে স্বাক্ষরিত একটি নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি সক্রিয় করতেও সম্মত হয়েছে। এর পাশাপাশি বাণিজ্য, অর্থনীতি এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আগের আরেকটি চুক্তিও সক্রিয় করা হবে বলে জানানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিটির বিষয়ে সচেতন। ইয়েমেনে যুদ্ধের অবসান এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করার জন্য যেকোনো প্রচেষ্টাকে তারা স্বাগত জানায়।