দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে বেইজিংয়ের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে, চীনের নেতা শি চিন পিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রথম বার্ষিকীতে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে চাই যে, চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করবে না। তিনি আরো বলেন, ‘প্রস্তাবটি ইঙ্গিত দেয় চীন শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় যুক্ত হয়েছে।’
চীনের পরিকল্পনায় শান্তি আলোচনা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানানোর কথা বলা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে দ্রুত সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে চীন। একইসঙ্গে দেশটি ‘রাজনৈতিক মীমাংসা’র আহ্বান জানিয়ে ১২ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবে সব পক্ষকে রাশিয়া এবং ইউক্রেন নিয়ে একইদিকে কাজ করা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনরায় সরাসরি সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং। তবে ১২-দফা প্রস্তাবে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি, রাশিয়াকে অবশ্যই ইউক্রেন থেকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে।
তবে জেলেনস্কির সাক্ষাতে আগ্রহের বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি চীন। রাশিয়া চীনের শান্তি আলোচনার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বেইজিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে আমাদের মিল আছে।’বিগত বছরের ঘটনা স্মৃতিচারণ করে সাহসী কণ্ঠে জেলেনস্কি আরো বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে, দৃঢ়ভাবে এবং অবিচলিতভাবে যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার শক্তি ইউক্রেনের আছে। তার দেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলেনস্কি জার্মানসহ মিত্র দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান।
এই সপ্তাহের শুরুতে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, বেইজিং রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করার কথা বিবেচনা করছে। বেইজিং এই দাবিকে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে। চীনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন শুক্রবার এবিসি নিউজকে বলেছেন, ‘পুতিন এটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, তাহলে এটি কীভাবে ভাল হতে পারে?’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি পরিকল্পনায় এমন কিছুই দেখিনি যা রাশিয়া ছাড়া অন্য কারো জন্য ভালো হবে।’