দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : চীনের নেতা শি চিন পিং টানা তৃতীয়বারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন। দেশটির রাবার স্ট্যাম্প পার্লামেন্ট থেকে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। চীনের সংসদে দুই হাজার ৯৫২ সদস্যের সবাই শি চিন পিংকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে ভোট দেন। চীনের নেতা শি চিনপিং প্রেসিডেন্ট হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল শুক্রবার ‘বন্ধু’ চিন পিংকে অভিনন্দন জানান পুতিন।
তিনি বলেন, ‘প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য অভিনন্দন। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত করতে আপনার যে অবদান রয়েছে তা রাশিয়ার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। আমি নিশ্চিত যে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করে রাশিয়া-চীন সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দেব। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বিষয়েও আমরা যৌথভাবে কাজ করব।’
বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় রাশিয়ার। তবে চীনকে পাশে পেতে সচেষ্ট মস্কো। একইভাবে কূটনৈতিক সূত্র মেনে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে রাখতে ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের পাশেই দাঁড়িয়েছেন শি চিন পিং।
উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবর মাসেই চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন চিন পিং। শুক্রবার শি চিন পিংয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা ছাড়াও হান ঝেংকে ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ঝাও লিজেকে সংসদের প্রধান নেতা বানানো হয়। তারা সবাই গ্রেট হল অব দ্য পিপলের ভেতর দেশের সংবিধান অনুযায়ী শপথ গ্রহণ করেন।
শি চিন পিং প্রথমবার যখন ক্ষমতায় আসেন তখনো চীনের সংবিধানে ছিল, কেউ দুই মেয়াদ অর্থাৎ ১০ বছরের বেশি সময় প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন না। শি চিন পিংয়ের পূর্বসূরি জিয়াং জেমিন, হু জিনতাওরা দশ বছর পর ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু শি চিন পিং তা করেননি। তিনি নিয়ম বদল করেছেন। দুইবারের বেশি যাতে তিনি প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন, তার ব্যবস্থা করেছেন। ২০১৮ সালে নিয়মের পরিবর্তন হয়েছে। ফলে শি তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হতে পারলেন।