দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : লেবাননে একটি মসজিদের ভেতরে বন্দুকধারীর গুলিতে কমপক্ষে একজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছে বলে দেশটির একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে দেশটির বেকা উপত্যকায় পূর্বাঞ্চলীয় বার ইলিয়াস শহরে এ ঘটনা ঘটে।
সন্দেহভাজন বন্দুকধারী বর্তমানে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে। গুলি চালানোর কারণ তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি। তবে একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য ইঙ্গিত করে, ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রীয় ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) বলেছে, লেবানিজ সেনাবাহিনী ও সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর মধ্যে পরে আরো বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এ সময় গোলাগুলিতে বন্দুকধারী আহত হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার পর একাধিক অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
তদন্ত অব্যাহত থাকায় বর্তমানে সেনাবাহিনী জায়গাটি ঘিরে রেখেছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, নিহত ব্যক্তি ও আহত পাঁচজন সবাই সিরিয়ার নাগরিক। শহরটি অনেক সিরীয় শরণার্থীর আবাসস্থল, যারা তাদের দেশের ১২ বছরের সংঘাত থেকে পালিয়ে এসেছিল। লেবাননে এক মিলিয়নেরও বেশি সিরীয় উদ্বাস্তু রয়েছে এবং ২০১৯ সালের অক্টোবরে লেবাননের অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়াবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই পতনের মূলে রয়েছে কয়েক দশক ধরে দেশটির শাসক শ্রেণীর দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা। দেশের ছয় মিলিয়ন মানুষের তিন-চতুর্থাংশ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। ইউনিসেফের মতে, লেবাননের শিশু ও কিশোররা প্রায়ই তাদের বাড়িতে এবং আশপাশে বন্দুক সহিংসতার শিকার হয়। ২০২১ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ১২ বছরের কম বয়সী পাঁচ শিশু সশস্ত্র সংঘর্ষ, ব্যক্তিগত বিরোধ বা উদযাপনের জন্য ছোড়া বন্দুকের গুলিতে নিহত বা আহত হয়েছে।