দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪০ জনের বেশি মানুষ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। এদিকে শনিবার (২৭ আগসস্ট) সংঘর্ষের ঘটনার পর দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ নাগরিকদের আশঙ্কা, যে কোনো মুহূর্তে পুনরায় বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার ভোরে শুরু হওয়া লড়াইটি ত্রিপোলির বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় জাতিসংঘ এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক অচলাবস্থার জেরে লিবিয়ায় থেমে থেমে সহিংসতা হচ্ছে। সহিংসতা বর্তমানে সেখানে থাকা নড়বড়ে একটি শান্তিরত অবস্থানকে ভেঙে দেয়, যা ২০২০ সালের মাঝামাঝি থেকে লিবিয়ার বেশিরভাগ জায়গায় ছিল। আর এটি সেই দেশটিতে ডিসেম্বরে নির্ধারিত জাতিসংঘ-সমর্থিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পরে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে পড়েছে।
সর্বশেষ সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে মুস্তফা বারাকা নামে একজন কৌতুক-অভিনেতা ছিলেন। মিলিশিয়া এবং দুর্নীতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তিনি ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও প্রকাশ করতেন। বুকে গুলি লাগার ফলে তিনি নিহত হন।
লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজধানীর হাসপাতাল এবং মেডিকেল সেন্টারেও গোলাবর্ষণ কর হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স টিমকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া থেকে বাধা প্রদান করা হয়েছে।
ত্রিপলির নগর কাউন্সিল ঘটনার জন্য শাসক রাজনৈতিকদের দোষারোপ করেছেন। সহিংসতার ফলে শহরের নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।