আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া বাহিনীর হামলার মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গেলেন ইউরোপের তিন দেশের প্রধানমন্ত্রী। গতকাল মঙ্গলবার তাঁরা পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে চড়ে কিয়েভে যান। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁদের বৈঠকের কথা রয়েছে।
এদিকে রাশিয়া বাহিনীর হামলা বাড়ায় কিয়েভে গতকাল রাত ৮টা থেকে ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধে গতকালও সমঝোতা আলোচনায় বসেছেন ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল ন্যাটো জোটের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। ইউক্রেনে নো ফ্লাই জোন (বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা) ঘোষণা না করায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই সামরিক জোটের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। জেলেনস্কি বলেন- ন্যাটো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জোট। কিন্তু জোটের কিছু সদস্য রাশিয়ার বশীভূত হয়ে আছে।
এই পরিস্থিতিতে ন্যাটো জোটের তিন সদস্যদেশের প্রধানমন্ত্রীরা গতকাল ইউক্রনের কিয়েভে যান। তাঁরা হলেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি, চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা ও স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানেজ জানসা। এই তিন দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও সদস্য।
কিয়েভ সফর নিয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন- ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নের অকুণ্ঠ সমর্থন জানাতে তাঁরা এই সফর করছেন। এ ছাড়া সফরে ইউক্রেনের নাগরিকদের জন্য ত্রাণসহায়তা তুলে দেওয়া হবে।
যুদ্ধের মধ্যে তিন নেতার কিয়েভ সফরকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছিল। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ বলছে- তাঁদের নিরাপত্তায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ সহযোগী মিখাল বরজিক জানান- ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তিন নেতা জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন।