দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ‘ইউক্রেনের অখণ্ডতা ও জাতিসংঘ সনদ নীতি’ শীর্ষক এক জরুরি অধিবেশন আহ্বান করে জাতিসংঘ। এতে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনে যুক্ত করার বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে। বাংলাদেশসহ ১৪৩টি দেশ এতে রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান, সমস্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি, জাতিসংঘ সনদ এবং অন্যান্য মৌলিক নীতি বিবেচনায় নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, ঐক্য এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনর্নিশ্চিত করতে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় জাতিসংঘে। এতে সাধারণ পরিষদের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশই রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। নিন্দা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে কেবল রাশিয়া, সিরিয়া, নিকারাগুয়া, উত্তর কোরিয়া ও বেলারুশ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ সেনারা ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে এ পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চারটি নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে বুধবার মস্কোর বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। ভোটের আগে জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া অভিযোগ করেন, এ প্রস্তাব রাজনৈতিক ও উসকানিমূলক। এটি চলমান সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে সব প্রচেষ্টা নস্যাৎ করতে পারে।
তবে ভোটের ফলকে ‘আশ্চর্যজনক’ উল্লেখ করে উল্লাস প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়্যাস। আর সংস্থাটিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বলেছেন, এ ফল দেখিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া বিশ্বকে ভয় দেখাতে পারেনি। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করার পর একই ধরনের নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। সেদিন এর পক্ষে ভোট দিয়েছিল ১০০টি দেশ, বিপক্ষে ১১টি এবং ভোটদানে বিরত ছিল ৫৮ দেশ।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ভোটের আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিপক্ষে জনমত বাড়াতে লবিং করেছিল। মঙ্গলবার ১০০টির বেশি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ২০১৪ সালের তুলনায় রাশিয়ার বিপক্ষে এবার কয়েক ডজন ভোট বেশি পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২ মার্চ ইউক্রেনে হামলা বন্ধে সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়। এর পক্ষে ভোট পড়ে ১৪১টি। এদিন ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ।