দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা গ্রহণের ৯ বছর পর থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ও-চা মঙ্গলবার রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি শুধু সাময়িকভাবে দায়িত্বে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রায়ুতের সামরিক সমর্থিত ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি ১৪ মে নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তার এ ঘোষণা ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত ছিল। নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৫০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩৬টি জিতেছিল তার দল।
নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। সাবেক সেনাপ্রধান ও একজন কট্টর রাজকীয় প্রায়ুত ২০১৯ সালে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত জান্তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং সংসদে আরো চার বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার বিরোধীরা জোর দিয়ে বলেছিলেন, ফলাফলটি পূর্বনির্ধারিত ছিল। তবে ৬৯ বছর বয়সী প্রায়ুত তা অস্বীকার করে মঙ্গলবার বলেন, তিনি ‘অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন’। প্রায়ুত এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি প্রিয় জনগণের স্বার্থে জাতি, ধর্ম, রাজতন্ত্র রক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। এর ফল বর্তমানে জনগণ ভোগ করছে।’ বিদায়ি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্থিতিশীলতা ও শান্তির জন্য দেশকে সব ক্ষেত্রে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছি এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক বাধা অতিক্রম করেছি।’
প্রায়ুতের অভ্যুত্থানের পর থেকে ৯ বছরে তিনি আদালতের মামলা, ঘরের আস্থা ভোট এবং রাস্তায় বিরোধীদের প্রতিবাদের মাধ্যমে একাধিক চ্যালেঞ্জ থেকে বেঁচে গেছেন। বিরোধীরা তাকে একজন সুবিধাবাদী হিসেবে দেখেছিল, যার কোনো পাবলিক ম্যান্ডেট ছিল না। থাইল্যান্ডে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে ভোটের জন্য বৃহস্পতিবার নতুন পার্লামেন্ট আহ্বান করার প্রস্তুতি নিলে প্রায়ুতের এই ঘোষণা আসে।