দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের কুইন্সে আত্মীয়ের ছুরিকাঘাতে একই পরিবারের ৪ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন শিশু। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিজেও নিহত হন। রোববার (৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সকালে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখান থেকে হতাহতদের উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর ওই বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছিল হামলাকারী। এমনকি ঘটনাস্থলে যাওয়া দুই পুলিশ সদস্যকেও ছুরিকাঘাতে আহত করেছেন তিনি। একপর্যায়ে আহত একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গুলি করেন। পরে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
জ্যামাইকা হাসপাতালে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, তারা স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ৯১১ নম্বরে একটি ফোন কল পায়। সেখানে এক তরুণী বলেন, তার চাচাতো ভাই তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করছে।
পরে ঘটনাস্থলে দুই পুলিশ অফিসার যাওয়ার পর তারা বাড়ির সামনে ১১ বছর বয়সী একটি আহত মেয়েকে দেখতে পান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সে মারা যায়।
নিউ ইয়র্ক ফায়ার ডিপার্টমেন্ট ঘটনাস্থলে আসার পরে বাড়ির ভেতর থেকে আরও তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহগুলো ১২ বছর বয়সী ছেলে, ৪৪ বছর বয়সী নারী ও ৩০ বছর বয়সী একজন পুরুষের বলে পুলিশ জানিয়েছে।
৬১ বছর বয়সী একজন নারীকেও একাধিক ছুরিকাঘাতে আহত করেছে সন্দেহভাজন। পরে তাকে মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের মতে, ছুরিকাঘাতেই সকলেই মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে রান্নাঘরে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিউ ইয়র্ক পুলিশের মতে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম কোর্টনি গর্ডন (৩৯)। তাকে বাড়িতে সহিংসতার জন্য আগেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। হামলার কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।