দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বদলে দিচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতির মানচিত্র। আর যার প্রভাব থেকে বাঁচতে পারেনি খোদ যুক্তরাজ্যও। দেশটিতে জ্বালানির দাম বাড়ছে হু হু করে। দেশটির বাসাবাড়ির জ্বালানির দাম এরই মধ্যে ৮০ ভাগ বাড়ানোর ঘোষণা এসেছে। গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের উপযোগী এলপি গ্যাসের দাম ৮০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্যের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সরকারি সংস্থা দ্য অফিস অব গ্যাস অ্যান্ড ইলেকট্রিসিটি মার্কেটস (অফগেম)। অফগেমের শীর্ষ নির্বাহী জোনাথন ব্রেয়ারলি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
অফজেম জানিয়েছে, আগামী অক্টোবর থেকে যুক্তরাজ্যের বাসাবাড়ির জ্বালানি ব্যয় বেড়ে বছরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পাউন্ডেরও বেশি (প্রায় ৪ লাখ টাকা) হবে। যা আগে ছিল ১৯৭১ পাউন্ড (প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা)।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, লন্ডনের বাসিন্দা জোনসের মতো আরও অনেকেই বাড়ির জ্বালানির আচমকা মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা অবস্থায় পড়েছেন। কারণ এতে শুধু রান্নার খরচই বাড়েনি, বাইরের রান্না করা খাবারের খরচও বেড়েছে। জোনস এপিকে বললেন, সবই উপরের দিকে উঠছে। আমি তো আমার ভাড়াটাই দিতে পারছি না। কাউন্সিল ট্যাক্সও দিতে পারছি না। নিজেকে বারবার জিজ্ঞেস করছি, এখন আমি করবোটা কী।
গত মে মাসে যুক্তরাজ্যের সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, চলতি শীতে জনগণকে বিদ্যুৎ ও গৃহস্থালী গ্যাসের বার্ষিক বিলে ৪০০ পাউন্ড মূল্যছাড় দেবে সরকার। তবে যদি সত্যিই গ্যাসের দাম এই পরিমাণ বাড়ানো হয়, সেক্ষেত্রে মূল্যহ্রাস সাধারণ জনগণের কতখানি উপকারে আসবে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
রাশিয়া থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় ইউরোপের অন্যান্য দেশে গ্যাসের দাম বাড়লেও যুক্তরাজ্যে তা বাড়ছে রকেটগতিতে। যুক্তরাজ্য বিশেষভাবে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল এবং সাম্প্রতিক এই মূল্যবৃদ্ধিতে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠছে দেশটির জনগণের।
এদিকে, এই পরিস্থিতিতে জনগণকে কীভাবে সহায়তায় দেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের দুই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী লিজ ট্রাস ও ঋষি সুনাকের মধ্যে। সুনাক সাধারণ নাগরিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের পক্ষে, অন্যদিকে ট্রাস আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরিবর্তে কর কমানোর পক্ষে।