দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : এ সপ্তাহের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে খারাপ আবহাওয়ায় একটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ১৭ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী নিহত এবং ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে মিয়ানমারের ত্রাণকর্মীরা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।
স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, মালয়েশিয়ার দিকে যাওয়া একটি নৌকা থেকে আটজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গার জন্য দেশটি একটি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। তবে নৌকাটি কোথা থেকে ছেড়েছিল তা স্পষ্ট নয়। মিয়ানমারের উপকূলীয় রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত একটি উদ্ধারকারী সংস্থা শোয়ে ইয়াং মেটা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মিন হতাল ওয়াহ বলেছেন, ‘আমরা ৭ রোহিঙ্গাআগস্ট থেকে মৃতদেহ খুঁজে পেতে শুরু করি। তিন দিনের মধ্যে আমরা ১৭টি মৃতদেহ পেয়েছি…আমরা কিছু লোককে জীবিতও পেয়েছি।’ মৃতদের মধ্যে ১০ নারী রয়েছে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মংডু শহরে একজন রোহিঙ্গা ত্রাণকর্মী বলেছেন, খারাপ আবহাওয়ায় নৌকাটি ছেড়ে গেছে এবং প্রায় ৫০০ জন এখনো মালয়েশিয়ায় পাড়ি দেওয়ার আশা করছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় নৌকায় করে পৌঁছনোর চেষ্টা করার সময় রোগ, ক্ষুধা ও ক্লান্তিতে তাদের মধ্যে অগণিত সংখ্যক সমুদ্রে মারা গেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার জানুয়ারি মাসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৩৯টি নৌকায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৭০০।
সংস্থাটি বলেছে, অন্তত ৩৪৮ জন রোহিঙ্গা গত বছর সমুদ্রে মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। তারা এ ধরনের ঘটনা বন্ধে আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রাকে ‘বর্ণবাদের’ সঙ্গে তুলনা করেছে। গণহত্যার পর মিয়ানমার জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে গণহত্যার অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন শুরু করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার আলোচনা করেছে।