শেখ মোহাঃ সাগর আহমেদ (রতন), মালদ্বীপ প্রতিনিধি : চিন্তাদ্বারার সময়২০০৯ সালের। যদি কখনো মালদ্বীপ সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যায়, এই জন্য বিশ্বের নজর কাড়তে পানির নিচে বৈঠক করে মালদ্বীভান সরকার। জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে বিশ্ববাসীর নজর কাড়তে এক অভিনব কাজ করে মালদ্বীপের সরকার৷ সাগরের তলে ডুবুরির পোশাক পরে মন্ত্রিসভার বৈঠক করে তারা৷
গোটা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আজ জনমত গড়ে উঠেছে৷ মালদ্বীপও এর ব্যতিক্রম নয়, বিশেষ করে দেশটি এই ইস্যুতে সবচেয়ে জোরালো কন্ঠস্বর বলে পরিচিত৷ কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে মালদ্বীপ তার মধ্যে সবার আগে৷ পরিবেশবিদদের আশংকা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ দ্বীপরাষ্ট্রটি সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে৷ তাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থেই গোটা বিশ্ববাসীর নজর কাড়তে সচেষ্ট মালদ্বীপ৷মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ ও তার ডেপুটি মোহাম্মদ ওয়াহিদ সহ মন্ত্রী পরিষদের ডজন খানেক সদস্য সমুদ্রের ২০ ফুট নীচে সভা করেন৷
এসময় সকলের পরনে ছিল স্কুবা ডাইভিংয়ের পোশাক৷ উল্লেখ্য, এই বৈঠকের জন্য সকলকেই ডাইভিংয়ের বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে৷ আর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ তো আগে থেকেই প্রশিক্ষিত ডুবুরি৷ টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় তিনি ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা পানির নীচে চেয়ার টেবিলে বসেই বৈঠক করছেন৷ এসময় তারা বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমন কমানোর আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাবও পাশ করেন৷ প্রায় আধঘন্টা সময় সাগরের নীচে অবস্থান করেন মালদ্বীপের নীতি নির্ধারকরা৷পরে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ আহ্বান জানান যাতে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনে কার্বন নির্গমন কমাতে দেশগুলো রাজি হয়৷ তিনি বলেন, সাগরের নীচে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কথা কম হলেও কাজ হয়েছে বেশি৷ এখন দেখার বিষয়, মালদ্বীপের এই উদ্যোগ শিল্পোন্নত দেশগুলোর হুঁশ ফেরায় কিনা৷