দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশ এ বছর মন্দায় পড়বে বলে সতর্ক করলেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, ‘২০২৩ সাল আগের বছরের চেয়ে আরো কঠিন হবে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও চীনের অর্থনীতি শ্লথ হবে। ’ গত অক্টোবরে আইএমএফ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছিল।
তাতে বলা হয়েছিল, ২০২২ সালে বিশ্বে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৩.২ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে তা আরো কমে হবে ২.৭ শতাংশ।
বার্তা সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিবিএস নিউজ প্রগ্রাম ফেস দ্য নেশনকে জর্জিয়েভা বলেন, ‘এ বছর বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশ মন্দায় পড়বে বলে আমরা ধারণা করছি। ’ তাঁর মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, পণ্যের দাম বৃদ্ধি, উচ্চসুদের হার এবং চীনে করোনার নতুন সংক্রমণ বিশ্ব অর্থনীতিতে চাপ তৈরি করছে। তিনি বলেন, ‘যেসব দেশ মন্দায় পড়বে না, সেসব দেশেরও কয়েক কোটি মানুষ মন্দার মতো অবস্থায় পড়বে। ইউরোপ কোনোভাবেই মন্দা এড়াতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্দার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ’
নতুন বছরের শুরুতেই বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে আইএমএফ প্রধানের এমন আশঙ্কা উদ্বেগ ছড়াচ্ছে দেশে দেশে। আইএমএফ বলছে, করোনাভাইরাস নতুন করে বিস্তার শুরু করলেও চীন সম্প্রতি তাদের ‘শূন্য কভিড’ নীতি থেকে সরে এসেছে। তারা অর্থনীতিতে আবারও গতি সঞ্চার করতে চায়। ফলে চলতি বছর বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশ চীন এক কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে। ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘আগামী কয়েক মাস চীনের জন্য কঠিন সময়। চীনের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লে তাতে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আইএমএফ বলছে, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির গতি মন্থর বা সংকুচিত হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়া মানে চীন, ভিয়েতনামসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তার প্রভাব পড়বে। কারণ এসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানির চাহিদা কমে যাবে। এ ছাড়া উচ্চ সুদের কারণে ব্যবসায়ীদের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা কমে যাবে। সূত্র : বিবিসি