দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : জেরুজালেমে কয়েক হাজার মানুষ বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছে। স্থানীয় সময় গত শনিবার রাতে তেল আবিব, জেরুজালেম, সিজারিয়া, রানানা এবং হার্জলিয়াতে হাজার হাজার ইহুদি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। নেতানিয়াহুকে ‘চুক্তির পথে বাধা’ আখ্যা দিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না।
গত শনিবার শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়েছে তেলআবিব, জেরুজালেম, হাইফা, বেয়ার শেভা, সিজারিয়া এবং অন্যান্য শহরে। প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে আসা হাজারো বিক্ষোভকারী গাজায় এখনো বন্দি থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তির দাবি জানায়। তেল আবিবের কাপলান স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অবিলম্বে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয়। সমাবেশের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ কর্মকর্তারা শহরের কিরিয়া সামরিক সদর দপ্তরের প্রবেশদ্বার বিগিন গেটে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘কেউ যাবে না। আমরা জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করব এবং সেখানেই থাকব, যতক্ষণ না সরকার ভেঙে দেওয়া হয়। উপকূলীয় শহর সিজারিয়াতে বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুর বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ধ্বংসের দেবদূতের জন্য কোনো ক্ষমা নেই’ এবং ‘ব্যর্থতা ও পরিত্যাগের জন্য কোনো ক্ষমা নেই’ স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভে অংশ নেন প্রায় ৫৪ দিন আগে মুক্তি পাওয়া জিম্মি রাজ বেন-আমি। বিক্ষোভকারীরা ‘জিম্মি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’, ‘তারা সবাই বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামব না’ বলে স্লোগান দেন। গাজায় বন্দি মাতান জাঙ্গাউকারের মা আইনাভ জাঙ্গাউকার বলেছেন, আমরা অবিলম্বে নেতানিয়াহুকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে না পারলে স্বজনদের জীবিত এবং দ্রুত বাড়ি ফিরিয়ে আনতে পারব না। আসবে তাদের লাশ। তাই আমরা বিক্ষোভ শুরু করতে বাধ্য হয়েছি।
বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৬ জনকে। গাজায় হামলা ঘিরে সাধারণ মানুষ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রবল চাপে রয়েছে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক জোট। গাজায় জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সংহতি জানিয়েছে এসব আন্দোলনকারী।