দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যে সোমবার নিখোঁজ দুই কিশোরীর সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু তল্লাশির সময় পাওয়া যায় সাতটি মরদেহ। মার্কিন গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভুক্তভোগীদের শনাক্ত করা যায়নি। তাদের মধ্যে নিখোঁজ হওয়া ১৪ ও ১৬ বছর বয়সী দুই মেয়ে রয়েছে কি না তা-ও জানায়নি কর্তৃপক্ষ। তবে তাদেরকে একজন দোষী সাব্যস্ত হওয়া যৌন অপরাধীর সঙ্গে দেখা গেছে বলে জানা গিয়েছিল। এদিকে ওকমুলজি কাউন্টির শেরিফ এডি রাইস সংবাদপত্রকে বলেছেন, হেনরিয়েটা শহরে মরদেহ পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ ওই কিশোরীদের জন্য তাদের অনুসন্ধান বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা আজ সকালে যা খুঁজছিলাম তার সব কিছু পাওয়া গেছে।’ ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শেরিফের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য তুলসা ওয়ার্ল্ড প্রতিবেদনে বলেছে, কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, যে সাতটি মরদেহ পাওয়া গেছে, তার মধ্যে দুটি নিখোঁজ হওয়া মেয়েদের। সংবাদপত্র অনুসারে মরদেহগুলো এমন একটি সম্পত্তিতে পাওয়া গেছে, যেখানে নিবন্ধিত যৌন অপরাধী ও দোষী সাব্যস্ত হওয়া ধর্ষক জেসি এল ম্যাকফ্যাডেন বাস করতেন।
ওই অঙ্গরাজ্যের হাইওয়ে টহল বাহিনী সোমবারের শুরুতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের একটি নোটিশ জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, নিখোঁজ হওয়া দুটি মেয়েকে হেনরিয়েটাতে রাত ১টা ২২ মিনিটে শেষবার দেখা গেছে। দুজনই সম্ভবত ৩৯ বছর বয়সী ম্যাকফ্যাডেনের সঙ্গে একটি সাদা শেভ্রোলেট অ্যাভাল্যাঞ্চ গাড়িতে ভ্রমণ করছিল।
টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শিশু পর্নোগ্রাফি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে একজন নাবালকের সঙ্গে যৌন আচরণ বা যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা’সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে সোমবার মুস্কোজি কাউন্টিতে ম্যাকফ্যাডেনের বিচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার সকালে তিনি আদালতে হাজির হতে ব্যর্থ হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।