দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় একটি এলাকায় এখনো সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছে। গত সপ্তাহে সেখানে বন্যা শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত চার শতাধিক মানুষ মারা গেছে। মঙ্গলবার একজন স্থানীয় কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। অঞ্চলটির বেঁচে থাকা বাসিন্দারা খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছে।
দক্ষিণ কিভু প্রদেশের কালেহে অঞ্চলের বুশুশু ও ন্যামুকুবি গ্রাম বৃহস্পতিবার প্লাবিত হয়েছিল। সেখানে কয়েক দিনের মুষলধারায় বৃষ্টির পর ভূমিধস শুরু হয় এবং নদীগুলোর তীর ভেঙে যায়। গ্রাম দুটি থেকে অসংখ্য মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানকার ভবনগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে এবং ফসল নষ্ট হয়েছে।
মরদেহগুলো দাফনের জন্য সপ্তাহান্তে গণকবর খনন করা হয়েছিল, যার মধ্যে অনেক নারী এবং শিশু ছিল। তবে সুধীসমাজ অভিযোগ করেছে, তাদের অসম্মানিতভাবে দাফন করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তারা মানবিককর্মীদের গণদাফন বন্ধ করতে এবং এলাকায় কফিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন।
রেড ক্রসের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত আট হাজার ৮০০-এরও বেশি বাসিন্দাকে সহায়তার জন্য সরবরাহ ও সরঞ্জামের অভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। গত সপ্তাহে শুরু হওয়া এই বন্যা দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়ে উঠেছে। কালেহে প্রশাসক থমাস বাকেঙ্গা জিরিমওয়াবাগাবো মঙ্গলবার বলেছেন, এ পর্যন্ত ৪১১টি মরদেহ পাওয়া গেছে এবং কমপক্ষে পাঁচ হাজার ৫২৫ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় একটি সরকারি প্রতিনিধিদল ওই এলাকায় পৌঁছেছে এবং আশা করা হচ্ছে তারা বেঁচে থাকাদের জন্য খাবার ও তাঁবু নিয়ে আসবে। অনেকেই আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে বা সরকারি ভবনগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিল। ফলে সেখানে ভিড় বেড়েছে। বন্যা হলো আফ্রিকার সর্বশেষ প্রধান বিপর্যয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দুর্বল নগর পরিকল্পনা ও দুর্বল অবকাঠামোসহ দেশগুলোর দুর্বলতা তুলে ধরে। জাতিসংঘের জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে, উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে আফ্রিকার বৃষ্টিপাতের তীব্রতা এবং হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।