দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সময় শেষ, সে এখন আর বৈধ নয়। রাশিয়া ও ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় বসতে চাইলে এটি একটি আইনি বাধা তৈরি করবে। বেলারুশ সফরের সময় একটি টেলিভিশন সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো তার পাশে ছিলেন।
রাশিয়ার আগ্রাসনের তিন বছরে ইউক্রেন সামরিক আইনের অধীনে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জেলেনস্কি তার পাঁচ বছর অতিক্রম করলেও নির্বাচনের মুখোমুখি হননি। জেলেনস্কি ও তার মিত্ররা যুদ্ধকালীন একে সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে মস্কো শান্তি সংলাপ শুরু করতে আগ্রহী, তবে সেই সংলাপ দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্বাধীন সরকারের কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে পুতিন আরো বলেন, আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডে ‘শান্তি সম্মেলন’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আমার মনে হয়, পশ্চিমা বিশ্বের এই সম্মেলন আয়োজনের মূল লক্ষ্য কিয়েভের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বৈধ বলে ঘোষণা করা, যে শাসকগোষ্ঠী ইতিমধ্যে সাংবিধানিকভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ। এটি আসলে একপ্রকার পিআর কর্মসূচি, কিন্তু আইনগত বা বৈধ নথির ক্ষেত্রে এসব পিআর কর্মসূচির কোনো মূল্য নেই। এদিকে ইউক্রেন পার্লামেন্টের স্পিকার রুসলান স্টেফানচুক বলেন, যারাই প্রেসিডেন্টের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা দেশের শত্রু।
২০১৯ সালে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সাংবিধানিক মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২০ মে। তিনি অবশ্য গত বছর একটি ডিক্রি জারি করেছিলেন। সেই ডিক্রিতে বলা হয়েছিল, যত দিন ইউক্রেনে যুদ্ধাবস্থা থাকবে, তত দিন তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পদে থাকবেন।