দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : জাতিসংঘের মতে, চীন রাজ্যজুড়ে ঘূর্ণিঝড় মোখোয় ১২০০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোখোয় বুধবার পর্যন্ত মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ২০২ এ পৌঁছেছে বলে দেশটির গণমাধ্যম ইরাবতী জানিয়েছে।
মিয়ানমারের বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) মঙ্গলবার জানিয়েছে, চীন রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় এক হাজার ১৩৬টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া হাঁকা এবং পালেতওয়া শহরে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। চীন ফায়ার সার্ভিস বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণে উদ্ধারকারীদল পালেতোয়ায় পৌঁছতে পারছে না। পালেতোয়া শহরের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই।
স্থানীয়রা জানায়, আমরা আমাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমরা শুনেছি সামি এলাকা এখনো বন্যায় ডুবে আছে। রবিবার বিকেলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯৫ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে রাখাইনে আঘাত হানে মোখা। এখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ঝড়টি প্রতিবেশী চিন রাজ্য এবং সাগাইঙ্গ ও মাগউই অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যায়।
চীন রাজ্যের মাইন্ডাতে চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্সের প্রতিনিধি বলেছেন, শাসনবিরোধী সংস্থা এবং মাইন্ডত টাউনশিপ প্রশাসনিক সংস্থা মোখা আঘাতে গৃহহীন প্রায় ২০০ জনকে সহায়তা করছে। ফোনলাইনগুলো পুনরুদ্ধার করা হলে ক্ষতির আসল চেহারা জানা যাবে।
রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ঝড়ে শহরটির বেশির ভাগ ঘরবাড়ির ছাদ উড়ে যায় এবং এটি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়। সোমবার মিয়ানমারের জান্তা সরকার রাখাইনের ১৭টি ছোট শহরকে দুর্যোগকবলিত এলাকা বলে ঘোষণা করেছে। এখানকার বাসিন্দারা প্রধান যে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন তা হল পণ্যের অতিরিক্ত দাম। টিন ও চালের কাঠামো বানানোর লোহার অ্যাঙ্গেলের দাম পাঁচ গুণ বেড়ে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা।