দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস সতর্ক করে বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
বুধবার সামাজিক যোগযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘উভয় পক্ষের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। গাজায় প্রতি সেকেন্ডে চিকিৎসা সহায়তা পাওয়ার জন্য আমরা করছি, একের পর এক প্রাণ ঝরে পড়ছে। চার দিন ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকিৎসা সামগ্রী সীমান্তে আটকে আছে। জীবন রক্ষাকারী সামগ্রীর সরবরাহ শুরু করতে আমাদের অবিলম্বে অ্যাক্সেস দরকার।’
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিরাম ইসরায়েলি বিমান ও রকেট হামলায় নিহত, গুরুতর জখম ও আহত ব্যক্তিদের চাপে গাজার হাসপাতালগুলোয় তিল ধারনের জায়গা নেই। বেশির ভাগ রোগীকে সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার কারণে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী না আসায় হাসপাতালগুলোয় স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন, যার অর্ধেকই নারী ও শিশু। একই দিনে আন্তর্জাতিক এনজিও সেভ দ্য চিল্ড্রেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গত ১১ দিনের অভিযানে ১ হাজারেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে; অর্থাৎ গড় হিসেবে প্রতি ১৫ মিনিটে একজন করে শিশুর মৃত্যু ঘটছে গাজায়।
স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়ার পাশাপাশি অবরুদ্ধ গাজায় সুপেয় পানি ও খাবারেরও তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছে, জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ সরবরাহ না করা হলে খাবার ও পানির অভাবে গাজা উপত্যকায় মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে।