দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন দেশটির একটি আদালত। আজ বুধবার শুনানি শেষে আদালত রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসে ইমরান খান ও তাঁর দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশি জড়িত আছেন বলে জানান। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়। এই মামলার শুনানি আপাতত মুলতবি রয়েছে।
দোষী সাব্যস্ত হলে আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কারাবন্দি এ নেতার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। অভিযোগটি গত বছর ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের ইসলামাবাদে পাঠানো একটি গোপনীয় নথির সঙ্গে সম্পর্কিত, যেটি প্রকাশ করার জন্য ইমরান খান অভিযুক্ত হয়েছেন। তবে ইমরান খান ও কুরেশি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে দোষী সাব্যস্ত হলে এ মামলায় ১৪ বছর জেল এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
ইমরান খান বলেছেন, ২০২২ সালে মস্কো সফর করার পর তাঁর সরকারের পতনের জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও মার্কিন সরকারের ষড়যন্ত্রের প্রমাণ ছিল নথিটি। ওয়াশিংটন ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ক্রিকেটা তারকা থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ২০১৮ সালের শেষ সাধারণ নির্বাচনে জিতেছিলেন ইমরান খান। তাঁর বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা দায়ের হয়েছে, যেগুলোকে তিনি রাজনৈতিক মামলা হিসেবে নিন্দা করেছেন।
একটি দুর্নীতির মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ইতিমধ্যে তিন বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। ওই সাজা স্থগিত করা হলেও তিনি অন্যান্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন। এদিকে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অযোগ্য হয়েছেন। অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টস মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণে নির্বাচনের আগে তাঁর দলের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্য জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনাও কমেছে। তবে তাঁর আইনজীবীরা তাঁকে জামিনে মুক্তি এবং নিষেধাজ্ঞা বাতিলের জন্য চাপ দিচ্ছেন।