দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ভেনেজুয়েলাজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে রাস্তায় নেমেছেন মানুষ। সংঘর্ষে মৃত ১১। মৃতদের মধ্যে দুইজন কিশোরও আছে।
বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন। সাতশ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিরোধী দল ভোলানটাড পপুলার জানিয়েছে, তাদের জাতীয় আহ্বায়ক ফ্রেডি সুপারলানোকে আটক করা হয়েছে। ভেনটে ভেনেজুয়েলার প্রবীণ নেতা রিকার্ডো এস্তেভেজকেও আটক করা হয়েছে বলে তার দল জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক উইলিয়াম সাব জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে দুইজন নিরাপত্তারক্ষী মরা গেছেন। ৪৮ জন পুলিশ ও সেনা অফিসার আহত হয়েছেন। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিক্ষোভ নিয়ে যা জানা গেছে
ভেনেজুয়েলার জাতীয় নির্বাচন কাউন্সিল(সিএনই) রবিবার ঘোষণা করে প্রেসিডেন্ট মাদুরো ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছেন।
তিনি তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এরপরই বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। বিরোধীদের দাবি, তাদের প্রার্থী এডমুন্ডো গঞ্জালভেস উরুতিয়া যে জিতেছেন তার প্রমাণ তাদের কাছে আছে। ৭৩ শতাংশ ভোট যখন গণনা হয়েছিল, তখন বিরোধী প্রার্থী প্রচুর ভোটের ব্যবধানে জিতছিলেন বলে তাদের দাবি। গনজালেজকে বলেছেন, ‘আমাদের কাছে ভোটের যে রিপোর্ট আছে, তা দেখাচ্ছে যে আমিই জিতেছি।
এরপর বিরোধী সমর্থক ও সদস্যরা রাস্তায় নেমে আসেন। কিছু বিরোধী কর্মী রাস্তা অবরোধ করেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের কাছেও জমায়েত হন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চায়। মাদুরোর পূর্বসূরি ও তার মেন্টর হুগোর একটি মূর্তি ভেঙে রাস্তায় নিয়ে এসে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
একজন বিক্ষোভকারী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘আমরা পরিবর্তন চাই। এই সরকারকে নিয়ে আমরা পরিশ্রান্ত। আমরা স্বাধীন ভেনেজুয়েলা চাই। আমরা চাই, আমাদের পরিবার এখানে ফিরে আসুক। সাম্প্রতিক সময়ে ভেনেজুয়েলার এক তৃতীয়াংশ মানুষ দেশের বাইরে চলে গেছেন। বিক্ষোভকারী সেই প্রসঙ্গই তুলেছেন। আরেকজন বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, ‘আমরা দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করব। আমাদের কাছ থেকে ভোট চুরি করা হয়েছে।’
সংবাদপত্রের রিপোর্ট বলছে, পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী কড়া হাতে বিক্ষোভের মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে। প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেছেন, আমরা এই চিত্রনাট্য আগেও দেখেছি। নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিরক্ষা করবে। অতি-বামেরা যে সহিংসতা করছে তার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো লোপেজ বলেছেন,স্বৈরাচারী ও অতি-বামেরা বিদ্রোহ করতে চাইছে। তা সফল হবে না।