দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক: তীব্র গণ-আন্দোলনের জেরে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিয়ম অনুসারে, ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ‘বৈধভাবে’ ভারতে থাকতে পারবেন। কিন্তু এরপরে কী করবেন হাসিনা? তা নিয়ে এখনো সরকারিভাবে কিছু জানায়নি ভারত।
২২ আগস্ট শেখ হাসিনা এবং তার আমলের মন্ত্রী এবং সাংসদদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এ ঘটনার পর ওই সময়েই শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে ভারত সরকার তখন কোনো মন্তব্য করেনি।
ভারত-বাংলাদেশ সমঝোতা অনুযায়ী কূটনৈতিক (ডিপ্লোম্যাটিক) বা সরকারি (অফিশিয়াল) পাসপোর্ট থাকলে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক অন্তত ৪৫ দিন ভিসা ছাড়া ভারতে অবস্থান করতে পারেন। শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের মেয়াদ ৪৫ দিন পূর্ণ হয়েছে বৃহস্পতিবার। পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এখন প্রশ্ন উঠেছে শুক্রবার থেকে শেখ হাসিনা কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন।
সূত্রের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হলেও তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর সম্ভাবনা নেই। তাহলে প্রশ্ন থাকছে কীভাবে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিন। একাধিক মহলের যুক্তি, তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার মতই ‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে হাসিনাকে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে ভারতের সিদ্ধান্তের উপরেই।