দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশের জনগণ যখন প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছে, ঠিক তখন কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কর্মসূচিকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি সারা দেশে সন্ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, শুরু থেকেই ছাত্রদল ও শিবিরের সন্ত্রাসী ক্যাডারবাহিনী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এখন তারা ব্যাপক সন্ত্রাস ও অরাজকতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের জনগণ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী, সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সকলকে ধৈর্য ধারণ এবং সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত বলেছেন ‘আমার বিশ্বাস, আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে। তাদের হতাশ হতে হবে না।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামাতের ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির ফলে ইতিমধ্যে কয়েকটি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিকে পুঁজি করে কাউকে সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ডকে সহ্য করা হবে না।’
‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রাজপথে থাকবে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাসী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে সচেতন এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর যে কোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের রাজপথে থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সহযোগিতা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করছি।