দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক: গত শনিবার গাজায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারায় জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এদিকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি উল্লেখ করে ইতোমধ্যেই দেশটির কাছে বেশ কিছু অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যুদ্ধবিরতি না হলে আরো জিম্মিদের একই পরিণতি বরণ করতে হবে। ‘কফিনে ফিরতে হবে পরিবারের কাছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জিম্মিদের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল এখন ইসরায়েল। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে স্লোগান দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘটে বন্ধ হয়ে গেছে দেশটির কল-কারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে জিম্মিদের মৃত্যুর ঠেকানোর ব্যর্থতা স্বীকার করে নিজ জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নেতানিয়াহু।
অন্যদিকে হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যথেষ্ট উদ্যোগ নেননি বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য বেশ আগে থেকেই নেতানিয়াহুর ওপর চাপ দিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ইসরায়েল সফরেও গিয়েছিলেন। কিন্তু এত কিছুর পরও গাজায় যুদ্ধ থামায়নি ইসরায়েল।
জিম্মি সংকটকে ঘিরে দেশের অভ্যন্তরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও ইসরায়েল সরকারের ওপর ক্রমে চাপ বাড়তে দেখা যাচ্ছে।এর মধ্যেই গত শনিবার গাজার রাফাহ এলাকায় হামাসের একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ খুঁজে পায় ইসরায়েলি সেনারা। নিহত ছয় জিম্মিদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বলে জানা গেছে। বাকি পাঁচজন ইসরায়েলের নাগরিক। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের আড়াই শর বেশি নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় হামাস।