দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : টানা ২৯ দিনের চিকিৎসা শেষে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে বাসায় ফিরলেন কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি। শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে রনি দেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া, তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি।
রনি বলেন, আমার সুস্থ হতে যতটা না ওষুধ কাজ করছে তার থেকে বেশি কাজ করেছে এইসব মানুষের সেবা। তাদের সেবায় আমি আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠেছি।
রনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার পর তৎকালীন আইজিপি আমাকে এবং জিল্লুর রহমান ভাইকে বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি রাজি হয়নি। দেশের চিকিৎসার প্রতি আমার ভরসা আছে, সেজন্যই আমিই শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছি। আমি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আইজিপি এবং হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তারা আমাকে যেভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলেছেন সেই বিষয়টি আমি ভুলতে পারব না। বার্নের যে কত যন্ত্রণা সেটা আমি নিজে খুবভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি।
রনি আরও বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার পর যেন প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রত্যেক জেলায় যেন একটি করে বার্ন ইনস্টিটিউট হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের দেশে যে ভালো চিকিৎসা হয় তার দৃষ্টান্ত আমি নিজেই।
সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, গাজিপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন, পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ ১৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা। এ সময় একইদিনে দগ্ধ হওয়ার পুলিশ কন্সটেবল জিল্লুর রহমানও সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরেন।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে নাগরিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে আবু হেনা রনিসহ ৫ জন দগ্ধ হন। আগুনে রনির শরীরের ২৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো।