দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ১০ ডিসেম্বর যেকোনও মূল্যে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ হবেই। আমরা নয়াপল্টনে যাব। আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। সমাবেশ সুষ্ঠুভাবে করতে দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।’বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, গতকাল দুপুরে বিনা উসকানিতে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা গ্রেনেড, রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মীর পাশাপাশি দায়িত্বরত সাংবাদিকও আহত হন। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মকবুল নামের কাফরুল থানার একজন স্বেচ্ছাসেবক নেতা গুলিতে শহিদ হয়েছেন। পুলিশের এ হামলাকে কাপুরুষোচিত ও বর্বর হামলা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক নেতাকর্মীসহ সাংবাদিকদের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছে। কয়েকশ নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছিলাম। পুলিশ চটের ব্যাগে করে বোমা, ককটেল এসব নিয়ে অফিসের ওপরে গেছে। প্রত্যেকটি রুমের দরজা ভেঙেছে। অফিসের ভেতরে থাকা সব কাগজপত্র, ফাইল, চেকবই নিয়ে গেছে। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে। পুলিশ অফিসের পিয়ন ও অ্যাকাউনটেন্টকে ধরে নিয়ে গেছে।
বিএনপি অনেক সিনিয়র নেতাকেও এসময় পুলিশ আটক করে অভিযোগ করে মহাসচিব বলেন, তারা রুহুল কবির রিজভী, শিমুল বিশ্বাস, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, মনির হোসেন, বাবুলসহ অনেককে নিয়ে গেছে। পুলিশ কমিশনার বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীকে ফোন করে সমাবেশের চিঠি আনতে যাওয়ার জন্য বলেন। এ্যানী চিঠি আনতে নিচে নামলে তাকেও আটক করে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ নিজেরা বোমা রেখে আমাদের তার দায় দিচ্ছে। নাটক করছে। ডিবি, পুলিশ, সোয়াত টিমের পাশাপাশি আর্জেন্টিনার জার্সি ও হাতে শর্টগান নিয়ে গুলি চালিয়েছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় সে ছবি দেখা গেছে। এখন পুলিশ বলছে, সে তাদের কেউ না। পুলিশ গতকাল সারা ঢাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। সবশেষে মহাসচিব বলেন, পুলিশের কাছে গত ১৩ ও ২০ নভেম্বর আমরা পল্টনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছি। আমরা সেখানেই সমাবেশ করবে। আমাদের যেতে বাধা দিলেও আমরা রাস্তায় নামবে। সাধারণ মানুষকে নিয়ে যেহেতু আমাদের রাজনীতি, তাই সমাবেশ করতে না দিলে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে তারা কী করবে।