প্রবাস ডেস্ক : সৌদি প্রবাসী তুহিন আহমেদ (২২) গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশে থাকা ছোট ভাই তানভির আহমেদকে মুঠোফোনে জানাচ্ছিলেন- তাঁকে খুব শিগগির সৌদিতে নিয়ে যাবেন। পাশাপাশি তিনিও দেশে (বাংলাদেশ) ফিরে বিয়ে করবেন। স্বপ্ন নিয়ে দুই ভাইয়ের এ কথোপকথনের এক দিন পরই সৌদি আরবে নিজ কর্মস্থলে দুর্বৃত্তদের হামলায় খুন হন তুহিন।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে সৌদির জেদ্দা শহরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামের মৃত তারেক উদ্দিন ও শিলা বেগম দম্পতির ছেলে।
তুহিন সাত বছর আগে সৌদি আরবে যান বলে জানা গেছে।
নিহতের ছোট ভাই তানভির আহমেদ আজ সকালে মিডিয়াকে বলেন- সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। ভাই বলছিলেন- শিগগিরই তাঁকে সৌদিতে নিয়ে যাবেন। মায়ের সঙ্গে দুই ভাই একসঙ্গে বসবাস করবেন। আরও জানিয়েছিলেন- আগামী হজের পর বিয়ের জন্য বাড়িতে আসবেন। এ কথা শেষ হতে না হতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তানভির।
রাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নোমান আহমেদ বলেন- নিহতের ছোট ভাই তানভির ও চাচারা বাড়িতে আছেন। ঘটনার পর থেকে ওই বাড়িতে বিলাপ চলছে। লাশ দেশে আসবে কি না, তা এখনো পরিবার জানে না। নিহতের মা সেখান থেকে সিদ্ধান্ত জানাবেন। লাশ দেশে আনতে চাইলে তিনি ও তাঁর ইউপি সার্বিক সহযোগিতা করবেন।