বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন- বিএনপি দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যেই কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। নিজেরাই নিজেদের মধ্যে হানাহানি করছে। কিন্তু দোষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকারের ওপরে।
আজ শনিবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিএনপি জামাতচক্রের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশ শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে জিরো পয়েন্ট হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
তিনি বলেন- বিএনপি জানে, তাদের দুর্নীতি, দুঃশাসন আর জনবিচ্ছিন্নতার কারণে মানুষ তাদেরকে ভোট দিবে না। বিএনপি মধ্যযুগীয় কায়দায় জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। অগ্নিদগ্ধদের কষ্টের কথা, অগ্নিসন্ত্রাসে স্বজন হারানো মানুষের কান্না কি দেশের জনগণ ভুলে গেছে? ঐ নারকীয় অগ্নিসন্ত্রাসের কথা মানুষ ভুলে যায়নি। বিএনপি নামক অগ্নিসন্ত্রাসীদের মানুষ ভোট দেবেনা।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন- বিএনপি কেন নির্বাচনে যেতে চায় না? এই বিষয়টি পরিস্কার। কিছু সুবিধাবাদীদের নিয়ে সামরিক শাসকের হাতে গঠিত বিএনপি প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার ফলে সুবিধাবাদী এই বিএনপি নেতারা হতাশ। তারা সবাই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিএনপি এদেশের মানুষকে কিছুই দেয়নি বরং, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙালির ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়েছেন। দেশকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন অর্থাৎ শেখ হাসিনা দেশের মর্যাদা উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করে দিয়েছেন।
এ সময় তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- আসলে বিএনপি ভালোভাবেই জানে, তাদের কোন নেতা নেই। নেতা ছাড়া কোন রাজনীতি হয় না, নির্বাচনও হয় না। তাই বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায় না তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করতে চায়, বিএনপি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করতে চায়।
যুবলীগ নেতা কর্মীদের উদ্দ্যেশে বলছি- আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামাত যদি কোন ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করবেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহিন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, সোহেল পারভেজ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারিছ মিয়া শেখ সাগর, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, সহ সম্পাদক আবির মাহমুদ ইমরান, কাযনির্বাহী সদস্য অ্যাড. কাজী বশির আহমেদ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা- প্রমূখ।