1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
সময়মতো ভর্তুকি না পেলে ব্যাহত হতে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদন - DeshBideshNews
November 29, 2024, 8:50 pm
 

সময়মতো ভর্তুকি না পেলে ব্যাহত হতে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদন

  • Update Time : Saturday, February 25, 2023
  • 78 Time View
সময়মতো ভর্তুকি না পেলে ব্যাহত হতে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদন

দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সময়মতো বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকির অর্থ পাওয়া না গেলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদক সংস্থাগুলো। গত বছর জুন থেকে সময়মতো ভর্তুকির অর্থ পায়নি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তার ওপর চলমান ডলার সংকটের কারণে এ অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।

তাই, সময়মতো ভর্তুকির অর্থ না পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) থেকে অর্থ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এমন অবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে গত চার মাসের পিডিবির লোকসানের ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে দ্রুত ছাড় করার অনুরোধ জানিয়েছে।

পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, সময়মতো ভর্তুকির অর্থ ছাড় না করার পাশাপাশি ডলার সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় জ্বালানি কেনা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থা বিরাজ থাকলে ভবিষ্যতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে সরকারি-বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদকরা। তারা জানিয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে পর্যাপ্ত তরল জ্বালানি মজুদ রাখা প্রয়োজন। সময়মতো আর্থিক সহায়তা না পেলে তা সম্ভব হয় না।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর বেসরকারি খাতে ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট (আইপিপি), রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্র, সরকারি বিভিন্ন কোম্পানি এবং ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে বিতরণের পর ভর্তুকি বাবদ ২৫ হাজার ২২১ কোটি টাকা প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যুৎখাতে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, কয়লা ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পিডিবি’র বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া ২০২০ সালের জুন থেকে ফার্নেস অয়েলের আমদানি শুল্ক ও কর অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করায় শুল্ক বাবদ প্রায় ২৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই বিদ্যুতে ভর্তুকির তহবিল তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখন এ তহবিলে আছে মাত্র ২০০০ কোটি টাকা। গত বছর নভেম্বর থেকে ভর্তুকির ১৫ হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে, যা এ খাতে মোট বরাদ্দের ৮৮ শতাংশ।গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ১১ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা ভর্তুকির জন্য বরাদ্দ ছিলো। এ দিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়।

অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, বাজেটে বিদ্যুতের জন্য ভর্তুকি রাখবে কি না সে বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ভর্তুকি দিতে না চাইলে বিদ্যুতের দাম তৃতীয়বারের মতো বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, পিডিবি থেকে প্রতি মাসে ভর্তুকির দাবি আসে। বাজেটে যে বরাদ্দ রাখা হয় তা দিয়ে তাদের চাহিদা মেটে না। তাই পরবর্তী বাজেটের অর্থ দিয়ে আগের বাজেটের চাহিদা মেটাতে হয়। সারা বছরের আয়-ব্যয় প্রাক্কলন করেই বাজেট প্রণীত হয়। কোনো খাতে অতিরিক্ত অর্থ দিলে তখন বাজেট ব্যবস্থাপনায় চাপ বাড়ে। গত বছর নভেম্বর মাসে বিদ্যুতের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গত জানুয়ারিতে দুই বছর পর খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫ শতাংশ বেড়েছে।

বিদ্যুৎ, এলএনজি, নগদ সহায়তা, খাদ্য, রপ্তানি প্রণোদনা এসব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ভর্তুকি বাবদ সরকারের বরাদ্দ রয়েছে ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। গত কয়েক মাসে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল, কেরোসিন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ালেও চলতি অর্থবছরে সরকারকে ৪০ হাজার কোটি টাকার বাড়তি ভর্তুক গুনতে হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ