দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : নিজের জীবন বাজি রেখে রক্ত দিয়ে, পঙ্গুত্ব বরণ করে যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় এনে দিয়েছেন, তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমার মতের সঙ্গে নাও থাকতে পারে, আমার দলে নাও থাকতে পারে, তারপরও সে মুক্তিযোদ্ধা। আমার কাছে সে সম্মানিত। আর সেই সম্মানটা যুগ যুগ ধরে এ দেশের মানুষ দেবে, সেটাই আমরা চাই।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪’-এর নির্বাচিত ফেলোদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে। এটা মাথায় রাখতে হবে, তাদের এই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে। কাজেই তাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। আমি জানি, এর মধ্যে আমাদের দলের অনেকেরই সমর্থন নেই। অন্য জায়গায় চলে গেছেন। অনেকের অনেক কিছু থাকতে পারে। যে যেখানে যাক সেটা আমার কাছে বিবেচ্য নয়, আমার কাছে বিবেচ্য তারা সর্বস্ব ত্যাগ করে নিজের জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে, অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করে এই দেশকে স্বাধীন করে বিজয় এনে দিয়েছেন। কাজেই তাদের সম্মানটা সর্বোচ্চ থাকবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা এক সময় অবহেলিত ছিলো, আমি আসার পর থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছি এবং গর্ব করে যেন বলতে পারে আমি মুক্তিযোদ্ধা।
যারা দক্ষ হতে ফেলো নিয়ে বিদেশ যাচ্ছেন, ফিরে এসে আরও দক্ষভাবে দেশের সেবা করবে আশাবাদ ব্যক্ত করে সরকার প্রধান বলেন, ‘যারা যাচ্ছেন এ দেশের দায়িত্ব নিয়ে যেতে হবে যে, আপনাদের এদেশকে দেওয়ার আরও অনেক কিছু আছে। ভবিষ্যতে যাতে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন সেজন্য ফেলো দেওয়া হচ্ছে। ফিরে এসে দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন। তিনি বলেন, ‘দেশে দারিদ্র্যের হার কমিয়েছি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, শিক্ষা দীক্ষায়ও দেশ এগিয়ে যাবে।’
এ সময় শিক্ষার উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো অঞ্চল যাতে পিছিয়ে না পড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার কারণে গ্রামে বসেই ফিল্যান্সিং করে তরুণরা আয় করার সুযোগ পাচ্ছে। প্রযুক্তিকে সহজলভ্য করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’
ভবিষ্যতে যাতে ফেলোশিপ বন্ধ করে দেওয়া না হয়, এজন্য একটি ট্রাস্ট করে আইন করে দিয়ে যাওয়ার কথা জানান সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা চেয়েছিলেন শোষণমুক্ত, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠনে। সেই কথা মাথায় রেখেই সরকার কাজ করছে। কেউ অবহিলত থাকবে না।