দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির সূর্যসন্তানদের স্মরণ করছে সর্বস্তরের মানুষ। বুধবার ভোর থেকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল নিয়ে উপস্থিত হতে থাকেন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। আজ সকাল ৮টায় রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবারও প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। জাতিকে মেধাশূন্য করতেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, আইনজীবী, সংস্কৃতিকর্মীসহ মেধাবীদের হত্যা করে। সব বাধা পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ছিল মাঝে। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল জামায়াতে ইসলামী। আর তাদের সঙ্গে বিএনপি জোট করেছে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে মেধা শূন্য করা। দেশের নানা জায়গায় হত্যাযজ্ঞ চললেও মূল হত্যাযজ্ঞ চলে রাজধানীর রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে। সেই থেকে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে, পালন করে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে।