দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আন্দোলন করতে গিয়ে সহিংস হয়ে উঠবে কিনা তা নিয়ে ভয়ে আছে সরকার। তিনি বলেন, এতো বছর বিএনপি খালেদা জিয়ার জন্য চোখে পড়ার মতো কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। তাই তাদের মুখে আন্দোলন করে সরকার হটানোর কথা মানায় না। কিন্তু তারা দেশের মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করে আন্দোলন করলে, তা থেকে রক্ষা করার জন্য সরকার চেষ্টা করবে। সরকারের কথা হলো, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে হবে।
রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠান করবে। নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওপর আগেও হস্তক্ষেপ করা হয়নি, এবারও করা হবে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশে আগামী নির্বাচন হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইনগতভাবে বাতিল হয়ে গেছে। সেটার ভূত এখনও নামাতে পারছে না বিএনপি। উচ্চ আদালত থেকে যা বাদ হয়েছে তা আর আসবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে ইভিএম থাকুক, সরকারি দল শতভাগ আসনে ইভিএম দাবি করছে। নির্বাচন কমিশন কতটুকু দেবে, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। আমরা ইভিএমের পক্ষে, কারণ এতে জালিয়াতির শঙ্কা নেই। অথচ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ইভিএমের বিপক্ষে, আর বিরোধী দল পক্ষে। আর আমাদের দেশে ফখরুল সাহেবরা ইভিএম চাচ্ছেন না। ইভিএমের বিপরীতে কথা বলা বিএনপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। ইভিএমে স্বচ্ছ ভোট হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা আর্থিক সংকটে আছি, এতে সন্দেহ নেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে আমরা স্বস্তিতেও আছি। আমাদের খাদ্যের তেমন সমস্যা নেই। অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে। মানুষ কষ্টে আছে, এটাও ঠিক। তবে একজন মানুষও না খেয়ে কষ্টে মারা যায়নি। এরমধ্যেই চলতে হবে। দেশের রিজার্ভ নিয়ে খুব চিন্তিত নই। বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে আগামী পাঁচ-ছয়মাস চলা সম্ভব। এ সংকট কাটাতেই কিছু বেগ পেতে হচ্ছে। সেজন্য সরকারের পদত্যাগ চাইতে হবে-এমন কথা নয়। কোনো নিয়মে সরকারের পদত্যাগ চায় বিএনপি?
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ১০০টি সেতু উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এরইমধ্যে সামারি পাঠানো হয়েছে। তিনি যখন সময় দেবেন, তখন সেতুগুলো উদ্বোধন করা হবে।